এক্সক্লুসিভ
মোদির বিকল্প নেই মানতে নারাজ অমর্ত্য সেন
কলকাতা প্রতিনিধি
২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির কোনো বিকল্প নেই বলে যে কথাটা প্রচার করা হচ্ছে তা মানতে নারাজ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। গত বৃহস্পতিবার এক টিভি চ্যানেলে ভারতের নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমারের মুখোমুখি হয়ে অমর্ত্য সেন বলেছেন, সংকটের সময়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতা উঠে আসার ঐতিহ্য রয়েছে এই মহান দেশের। কারও কোনো বিকল্প নেই, এই ধারণা ঠিক নয়। তবে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বিকল্প নেতা কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে অমর্ত্য সেন বলেছেন, রাহুলই বিকল্প কিনা, তা বলা যায় না। তবে রাহুলের প্রতিভা রয়েছে। উদ্যমও আছে। হতে পারে তিনিই উঠে এলেন। আবার অন্য কোনো নেতাও উঠে আসতে পারেন। মোদি সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে অমর্ত্য সেন বরাবরই সরব। এই বিরোধিতার কারণেই সম্প্রতি রাজীব কুমার অমর্ত্য সেন সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন যে, অমর্ত্য দেশে বিশেষ থাকেন না বলেই সরকারের জনমুখী কাজকর্ম সম্পর্কে অবহিত নন।
তবে এই সমালোচনার উত্তর দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। তিনি রাজীব কুমারকে মুখের উপর বলেছেন, তিনি বছরের বেশকিছু সময় শান্তিনিকেতনেই কাটান। দেশের খবরাখবরও রাখেন। অমর্ত্য সেন জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজীব কুমার উন্নয়নের যে সব সরকারি পরিসংখ্যান দিচ্ছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের অনেক ফারাক। মৌলিক নাগরিক সুবিধার সূচকগুলোতে থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া তো বটেই, অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশও ভারতকে পেছনে ফেলেছে। আর বিদ্যুৎ বণ্টন বা ১০০ দিনের কাজের মতো যে সব বিষয়ে এই সরকার সাফল্য দাবি করছে, তা আসলে আগের সরকারগুলোর কাজের ধারাবাহিকতা।
অমর্ত্য সেন আরো বলেছেন, এই সরকারের আমলে সংখ্যালঘু ও দলিতরা সন্ত্রস্ত। পিটিয়ে মারার ঘটনার বাড়বাড়ন্তে প্রমাণ হয়েছে, গণতন্ত্রের জায়গা নিচ্ছে জনতাতন্ত্র (মবোক্র্যাসি)। শিল্প-সংস্কৃতির স্বাধীনতাও খর্ব করা হচ্ছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ দাবি করেছেন, এই সব নিয়ে অর্থবহ উন্নয়ন হয় না। তবে জানিয়েছেন, তিনি হতাশ নন। কেন না, সংকট পার হওয়ার অভিজ্ঞতা এ দেশের মানুষের রয়েছে। মানুষই পথ খুঁজে নেবেন।
তবে এই সমালোচনার উত্তর দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। তিনি রাজীব কুমারকে মুখের উপর বলেছেন, তিনি বছরের বেশকিছু সময় শান্তিনিকেতনেই কাটান। দেশের খবরাখবরও রাখেন। অমর্ত্য সেন জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজীব কুমার উন্নয়নের যে সব সরকারি পরিসংখ্যান দিচ্ছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের অনেক ফারাক। মৌলিক নাগরিক সুবিধার সূচকগুলোতে থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া তো বটেই, অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশও ভারতকে পেছনে ফেলেছে। আর বিদ্যুৎ বণ্টন বা ১০০ দিনের কাজের মতো যে সব বিষয়ে এই সরকার সাফল্য দাবি করছে, তা আসলে আগের সরকারগুলোর কাজের ধারাবাহিকতা।
অমর্ত্য সেন আরো বলেছেন, এই সরকারের আমলে সংখ্যালঘু ও দলিতরা সন্ত্রস্ত। পিটিয়ে মারার ঘটনার বাড়বাড়ন্তে প্রমাণ হয়েছে, গণতন্ত্রের জায়গা নিচ্ছে জনতাতন্ত্র (মবোক্র্যাসি)। শিল্প-সংস্কৃতির স্বাধীনতাও খর্ব করা হচ্ছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ দাবি করেছেন, এই সব নিয়ে অর্থবহ উন্নয়ন হয় না। তবে জানিয়েছেন, তিনি হতাশ নন। কেন না, সংকট পার হওয়ার অভিজ্ঞতা এ দেশের মানুষের রয়েছে। মানুষই পথ খুঁজে নেবেন।