এক্সক্লুসিভ

ই-পাসপোর্টের যুগে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার

২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

১১৯তম দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো ই-পাসপোর্ট চালু করছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার জার্মানির বিশ্বখ্যাত ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ্তুই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা্থ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় করা হয়েছে। ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর জিটুজি’র ভিত্তিতে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জালিয়াতি প্রতিরোধে ২০১০ সালের ১লা এপ্রিল সেনা বাহিনীর সহায়তায় মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রবর্তিত হয়। কিন্তু এই পাসপোর্টেও জালিয়াতি বন্ধ না হওয়ায় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনাকে আরও নির্ভুল, সহজতর ও সময় সাশ্রয়ী করতে বিশ্বের ১১৮টি দেশ ইতিমধ্যে ই-পাসপোর্ট সেবা ব্যবস্থা চালু করেছে। চলতি বছরের জুন মাসে ই-পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ করে এখন বাংলাদেশও ই-পাসপোর্টের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।

ই-পাসপোর্ট হলো বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট। ই-পাসপোর্টের সিএইচআইপি এ সকল তথ্য, স্বাক্ষর, ছবি, চোখের কর্নিয়া এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট সিল্ড অবস্থায় সুরক্ষিত থাকে বিধায় তা কোনোভাবেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ই-পাসপোর্ট একটি পরীক্ষিত, নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ দলিল এবং পৃথিবীর কোথাও এটি জাল কার সম্ভব হয়নি। এই পাসপোর্ট প্রবর্তিত হলে বাংলাদেশি জনগণের মর্যাদা বিশ্বের দরবারে উজ্জ্ব্বল হবে এবং হয়রানিমুক্তভাবে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে পারবে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জার্মানির সঙ্গে জিটু জি পদ্ধতিতে টার্ন কি প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, ভেরিডোস কোম্পানি ৩ কোটি ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরবরাহ করবে। ঢাকার উত্তরায় বুকলেটের জন্য একটি অ্যাসেম্বলি কারখানা স্থাপন করা হবে। এতে বুকলেটের খরচ অর্ধেকেরও কম হবে। ৫০টি ই-গেট দেয়া হবে।

সকল সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক ১০ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ সেবা প্রদান করবে। একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ ডাটা সেন্টার ও একটি ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার এবং অত্যাধুনিক পার্সোনালাইজেশন সেন্টার নির্মাণ করা হবে। পার্সোনালাইজেশন সেন্টারে ৮টি প্রিন্টিং মেশিন থাকবে এবং যার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রতি শিফটে ৩০ হাজারেরও বেশি পাসপোর্ট প্রিন্ট করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশে ৭২ টি পাসপোর্ট অফিস, বিদেশে ৮০ টি মিশন, ৭২ টি এসবি/ডিএসবি অফিস, ২২টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ সকল অফিসে প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক প্রদান করবে। এই প্রকল্পের মূল্য ধরা হয়েছে ৪,৫৬৯ কোটি টাকা, ভেরিডোস-এর সাথে চুক্তি মূল্য ৩,৩৩৮ কোটি টাকা, কাস্টম ডিউটি (সিডি), ভ্যাট, এআইটি ১,০২৪ কোটি টাকা ও প্রকল্প ব্যয় ২০৭ কোটি টাকা। ই-পাসপোর্ট চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান, ভেরিডোস কোম্পানির সিইও কুনস, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুসহ অনেকে। এছাড়াও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status