বাংলারজমিন
সারা দেশে এইচএসসির ফলাফল
চট্টগ্রামে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে
২০ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ আগের বছরের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। এবার পাসের হার ৬২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর এইচএসসির পাসের হার ছিল ৬১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। যার তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগের বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিলেন ১ হাজার ৩৯১ জন শিক্ষার্থী। যা গত বারের চেয়ে ২৩২ জন বেশি।
১৯শে জুলাই বৃহসপতিবার দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান এইচএসসি পরীক্ষার এই ফলাফল ও তারতম্য ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এবার পাসের হার গত বছরের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। বেড়েছে জিপিএ ফাইভও। তবে সার্বিক ফলাফলে আমাদের সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ প্রতি ১০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে তিনজনও জিপিএ ফাইভ পায়নি।
বৃহত্তর চট্টগ্রামে পাসের ক্ষেত্রে এবারও ছাত্রীরা ছাত্রদের চেয়ে এগিয়ে। এবার ৬৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ ছাত্রী পাস করেছেন। ছাত্র পাস করেছেন ৫৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৫১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৬৮ দশমিক শূন্য এক শতাংশ।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। সেখানে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। রাঙ্গামাটি জেলায় পাসের হার ৪৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
চট্টগ্রাম মহানগরীর তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম জেলা। চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৫৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ২৫৩টি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে পাসের হার ৫০ শতাংশের নিচে এমন কলেজের সংখ্যা ১৭৪টি। তন্মধ্যে মহানগরের কলেজগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে জেলার কলেজগুলো। আমরা যেসব কলেজে শিক্ষার্থীরা খারাপ ফল করেছে সেসব কলেজকে ডাকব। তাদের পাঠদান উন্নত করার বিষয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেব।
চট্টগ্রামে শতভাগ পাস করেছে এমন কলেজের সংখ্যা ৫টি। এগুলো হলো হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, বর্ডার গার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সীতাকুন্ড গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ।
রাজশাহীতে পাসের হার ৬৬. ৫১
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে: চলতি বছরে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫১। যা গত বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম। গতবার পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৩০। শুধু তাই নয়, কমেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও। আগের বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ২৯৪ জন। এবার পেয়েছে ৪ হাজার ১৩৮ জন।
গতকাল দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক প্রামাণিক। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গত এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
তিনি বলেন, এবার পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো করেছে। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ২৭৮ জন। অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী। এই শিক্ষাবোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৬১ দশমিক ৪০ ও ছাত্রীদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৬৯। জিপিএ-৫ এ ছাত্ররা দুই হাজার ২৩৪ জন। আর ছাত্রীরা এক হাজার ৯০৪ জন শিক্ষার্থী।
দিনাজপুরে মেয়েরা এগিয়ে
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে: দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা পাসের ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে।
এই বোর্ডে এবার মোট পাসের হার ৬০ দশমিক ২১ শতাংশ। যার মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৫৬ দশমিক ২২ এবং মেয়েরা ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। দিনাজপুর বোর্ডে এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ২৯৭ জন শিক্ষার্থী যার মধ্যে ১ হাজার ৩৪৪ জন ছাত্র এবং ৯৫৩ জন ছাত্রী। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৮টি জেলার ৬৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩৩৪ জন। এবার পাস করেছে মোট ৭১ হাজার ৯৫১ জন।
কুমিল্লায় বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এবার উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫। বৃহস্পতিবার ঘোষিত ফলাফলে এ বোর্ডের সম্মিলিত পাসের হার ৬৫.৪২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪৪ জন। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৪৯.৫২ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬৭৮ জন। এবার বোর্ডের আওতাধীন ৬টি জেলার ৩৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। এছাড়া জেলাওয়ারী ফলাফল বিশ্লেষণে এ বোর্ডের অধীন জেলাগুলোর মধ্যে ৭৩.৫৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে কুমিল্লা শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীসহ ৬টি জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ৩ হাজার ৬৬৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৬৭ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮৩.০৫, ব্যবসায় শিক্ষায় ৬৫.১৩ ও মানবিকে পাসের হার ৫৬.৬১ শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪৪ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৭৯৯ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৯২ জন ও মানবিকে ৫৩ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিটরিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এবং শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলাফল ভাল হয়েছে। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
যশোর বোর্ডের শীর্ষে খুলনা জেলা ও সিটি কলেজ
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে খুলনা জেলা সবার শীর্ষে রয়েছে। পাসের হার ৬৮.৪৫ ভাগ। গত বছর ছিল ৭৮.৬৬ ভাগ। গতকাল দুপুরে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, এবার খুলনা জেলার ৯৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২২ হাজার ৬৪৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ১৩ হাজার ৯৮০ জন পাস করেছে। খুলনা জেলা যশোর বোর্ডের মধ্যে সেরা হওয়ায় এখানকার কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। প্রচণ্ড সূর্যের তাপদাহে অধিকাংশ কলেজে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিল অনেকটা কম।
খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ জেলার মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে। এ কলেজ থেকে ৮১৯ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৮ ভাগ। গত বছরও এই কলেজটি জেলার মধ্যে প্রথম হয়। গত বছর ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী ছিল। পাসের হার ৯৬.৩৫ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩০০ জন। খুলনা পাবলিক কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ৪০২ জন। সর্বমোট এ প্লাস ১২১ জন। অকৃতকার্য ৩ জন। খুলনার সরকারি মহিলা কলেজের পাসের হার ৬৬% পরীক্ষার্থী ৫২২ জন। এ প্লাস মাত্র ৬৫ জন। অকৃতকার্য ৪৩ জন।
এদিকে মাদরাসা বোর্ডের আলিম পরীক্ষায় খুলনার সেরা দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা। এ মাদরাসা থেকে এবার পরীক্ষার্থী ছিল ৯০ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন।
গত বছর এইচএসসির পাসের হার ছিল ৬১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। যার তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগের বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিলেন ১ হাজার ৩৯১ জন শিক্ষার্থী। যা গত বারের চেয়ে ২৩২ জন বেশি।
১৯শে জুলাই বৃহসপতিবার দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান এইচএসসি পরীক্ষার এই ফলাফল ও তারতম্য ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এবার পাসের হার গত বছরের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। বেড়েছে জিপিএ ফাইভও। তবে সার্বিক ফলাফলে আমাদের সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ প্রতি ১০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে তিনজনও জিপিএ ফাইভ পায়নি।
বৃহত্তর চট্টগ্রামে পাসের ক্ষেত্রে এবারও ছাত্রীরা ছাত্রদের চেয়ে এগিয়ে। এবার ৬৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ ছাত্রী পাস করেছেন। ছাত্র পাস করেছেন ৫৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৫১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৬৮ দশমিক শূন্য এক শতাংশ।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। সেখানে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। রাঙ্গামাটি জেলায় পাসের হার ৪৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
চট্টগ্রাম মহানগরীর তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম জেলা। চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৫৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ২৫৩টি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে পাসের হার ৫০ শতাংশের নিচে এমন কলেজের সংখ্যা ১৭৪টি। তন্মধ্যে মহানগরের কলেজগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে জেলার কলেজগুলো। আমরা যেসব কলেজে শিক্ষার্থীরা খারাপ ফল করেছে সেসব কলেজকে ডাকব। তাদের পাঠদান উন্নত করার বিষয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেব।
চট্টগ্রামে শতভাগ পাস করেছে এমন কলেজের সংখ্যা ৫টি। এগুলো হলো হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, বর্ডার গার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সীতাকুন্ড গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ।
রাজশাহীতে পাসের হার ৬৬. ৫১
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে: চলতি বছরে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫১। যা গত বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম। গতবার পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৩০। শুধু তাই নয়, কমেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও। আগের বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ২৯৪ জন। এবার পেয়েছে ৪ হাজার ১৩৮ জন।
গতকাল দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক প্রামাণিক। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গত এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
তিনি বলেন, এবার পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো করেছে। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ২৭৮ জন। অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী। এই শিক্ষাবোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৬১ দশমিক ৪০ ও ছাত্রীদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৬৯। জিপিএ-৫ এ ছাত্ররা দুই হাজার ২৩৪ জন। আর ছাত্রীরা এক হাজার ৯০৪ জন শিক্ষার্থী।
দিনাজপুরে মেয়েরা এগিয়ে
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে: দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা পাসের ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে।
এই বোর্ডে এবার মোট পাসের হার ৬০ দশমিক ২১ শতাংশ। যার মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৫৬ দশমিক ২২ এবং মেয়েরা ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। দিনাজপুর বোর্ডে এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ২৯৭ জন শিক্ষার্থী যার মধ্যে ১ হাজার ৩৪৪ জন ছাত্র এবং ৯৫৩ জন ছাত্রী। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৮টি জেলার ৬৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩৩৪ জন। এবার পাস করেছে মোট ৭১ হাজার ৯৫১ জন।
কুমিল্লায় বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এবার উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫। বৃহস্পতিবার ঘোষিত ফলাফলে এ বোর্ডের সম্মিলিত পাসের হার ৬৫.৪২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪৪ জন। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৪৯.৫২ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬৭৮ জন। এবার বোর্ডের আওতাধীন ৬টি জেলার ৩৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। এছাড়া জেলাওয়ারী ফলাফল বিশ্লেষণে এ বোর্ডের অধীন জেলাগুলোর মধ্যে ৭৩.৫৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে কুমিল্লা শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীসহ ৬টি জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ৩ হাজার ৬৬৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৬৭ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮৩.০৫, ব্যবসায় শিক্ষায় ৬৫.১৩ ও মানবিকে পাসের হার ৫৬.৬১ শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪৪ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৭৯৯ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৯২ জন ও মানবিকে ৫৩ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিটরিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এবং শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলাফল ভাল হয়েছে। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
যশোর বোর্ডের শীর্ষে খুলনা জেলা ও সিটি কলেজ
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে খুলনা জেলা সবার শীর্ষে রয়েছে। পাসের হার ৬৮.৪৫ ভাগ। গত বছর ছিল ৭৮.৬৬ ভাগ। গতকাল দুপুরে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, এবার খুলনা জেলার ৯৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২২ হাজার ৬৪৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ১৩ হাজার ৯৮০ জন পাস করেছে। খুলনা জেলা যশোর বোর্ডের মধ্যে সেরা হওয়ায় এখানকার কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। প্রচণ্ড সূর্যের তাপদাহে অধিকাংশ কলেজে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিল অনেকটা কম।
খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ জেলার মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে। এ কলেজ থেকে ৮১৯ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৮ ভাগ। গত বছরও এই কলেজটি জেলার মধ্যে প্রথম হয়। গত বছর ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী ছিল। পাসের হার ৯৬.৩৫ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩০০ জন। খুলনা পাবলিক কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ৪০২ জন। সর্বমোট এ প্লাস ১২১ জন। অকৃতকার্য ৩ জন। খুলনার সরকারি মহিলা কলেজের পাসের হার ৬৬% পরীক্ষার্থী ৫২২ জন। এ প্লাস মাত্র ৬৫ জন। অকৃতকার্য ৪৩ জন।
এদিকে মাদরাসা বোর্ডের আলিম পরীক্ষায় খুলনার সেরা দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা। এ মাদরাসা থেকে এবার পরীক্ষার্থী ছিল ৯০ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন।