বাংলারজমিন
মানিকগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামত
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে
২০ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
মাটি ব্যবসায়ীদের ট্রাকের চাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়িবাঁধের রাস্তাটি। প্রতিদিন উপজেলার বানিয়াজুরী ও নালী ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের অন্যতম রাস্তাটি মানুষ ও ক্ষুদে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে নিজ উদ্যোগে এলাকার যুবক, তরুণ, বয়োবৃদ্ধরা রাস্তা সংস্কারে নেমে চলাচলের ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন।
সরজমিন দেখা গেছে, বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়িবাঁধের প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী। কাদা, বড় বড় গর্ত আর পানি জমে রয়েছে প্রায় সব রাস্তাজুড়েই। সম্প্রতি এই বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাধর কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে রাস্তাটি ব্যবহার করে ট্রাকভর্তি মাটি আনা-নেয়া করায় রাস্তাটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এখন রাস্তাটি আর রাস্তা নেই। টেম্পো, অটো রিকশা, রিকশা, ভ্যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। এই বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ জেলা শহর, উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। শুধু তাই নয়, ওই সব এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বেহাল এই রাস্তার কাদামাটি মাড়িয়ে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। কয়েক দিন হলো- বানিয়াজুরী, তাড়াইল, নয়াচরসহ আরো কয়েকটি গ্রামের যুবক, তরুণ ও বয়স্ক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি কোনো রকমে মেরামতের চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন রিকশা-ভ্যান, অটোবাইক চালক ও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের লোকজনও। ৭০ বছরের নুরুল ইসলাম বলেন, বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়িবাঁধের রাস্তার পাশেই আমাদের বসতবাড়ি। যেভাবে প্রভাবশালী লোকজন মাটির ট্রাক নিয়ে রাস্তাটি ধ্বংস করে দিলো তা দেখার কেউ নেই। ট্রাকের চাকায় রাস্তাটি এখন আর রাস্তা নেই। বড় বড় গর্ত আর পানিকাদা জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই এই বয়সে বাধ্য হয়ে ছেলেপেলেদের সঙ্গে রাস্তা মেরামত কাজ করছি। বয়স্ক ব্যক্তি আদব আলী ও নাজিমুদ্দিনের ক্ষোভও মাটির ট্রাকের ওপর। জানালেন, দুঃখের কথা বলার জায়গা নেই। মাটির ট্রাকের ধুলা আর কাদায় ভাত-তরকারি পর্যন্ত রান্না করে খাওয়ার অবস্থা থাকে না। ধুলাবালি মিশানো ভাত খেতে হয়। আর এখন তো বৃষ্টি। রাস্তায় পা রাখাই যায় না। ভয়াবহ খারাপ হয়ে গেছে রাস্তাটি। রাস্তা মেরামতের উদ্যোক্তারা জানান, গেল বছর এই বেড়িবাঁধ দিয়ে মাটির ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। বেড়িবাঁধের বানিয়াজুরী অংশে রাস্তার মুখে বেড়া দিয়ে ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেয়া হলেও এ বছর আবার সেই বেড়া খুলে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। যার ফলে মাটির ট্রাক অবাধে চলাচল করায় রাস্তাটি খানাখন্দে পরিণত হয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বানিয়াজুরী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. হানিফ মিয়া জানালেন, ট্রাক চলাচল বন্ধ করা না গেলে বেড়িবাঁধটির রাস্তা ভালো হবে না। বর্ষা মওসুমে চলাচল আরো কষ্টকর হয়ে পড়বে। মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মামুন হাওলাদার জানান, বেড়িবাঁধের বিষয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে সাধারণ মানুষ ও যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
সরজমিন দেখা গেছে, বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়িবাঁধের প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী। কাদা, বড় বড় গর্ত আর পানি জমে রয়েছে প্রায় সব রাস্তাজুড়েই। সম্প্রতি এই বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাধর কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে রাস্তাটি ব্যবহার করে ট্রাকভর্তি মাটি আনা-নেয়া করায় রাস্তাটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এখন রাস্তাটি আর রাস্তা নেই। টেম্পো, অটো রিকশা, রিকশা, ভ্যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। এই বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ জেলা শহর, উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। শুধু তাই নয়, ওই সব এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বেহাল এই রাস্তার কাদামাটি মাড়িয়ে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। কয়েক দিন হলো- বানিয়াজুরী, তাড়াইল, নয়াচরসহ আরো কয়েকটি গ্রামের যুবক, তরুণ ও বয়স্ক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি কোনো রকমে মেরামতের চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন রিকশা-ভ্যান, অটোবাইক চালক ও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের লোকজনও। ৭০ বছরের নুরুল ইসলাম বলেন, বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়িবাঁধের রাস্তার পাশেই আমাদের বসতবাড়ি। যেভাবে প্রভাবশালী লোকজন মাটির ট্রাক নিয়ে রাস্তাটি ধ্বংস করে দিলো তা দেখার কেউ নেই। ট্রাকের চাকায় রাস্তাটি এখন আর রাস্তা নেই। বড় বড় গর্ত আর পানিকাদা জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই এই বয়সে বাধ্য হয়ে ছেলেপেলেদের সঙ্গে রাস্তা মেরামত কাজ করছি। বয়স্ক ব্যক্তি আদব আলী ও নাজিমুদ্দিনের ক্ষোভও মাটির ট্রাকের ওপর। জানালেন, দুঃখের কথা বলার জায়গা নেই। মাটির ট্রাকের ধুলা আর কাদায় ভাত-তরকারি পর্যন্ত রান্না করে খাওয়ার অবস্থা থাকে না। ধুলাবালি মিশানো ভাত খেতে হয়। আর এখন তো বৃষ্টি। রাস্তায় পা রাখাই যায় না। ভয়াবহ খারাপ হয়ে গেছে রাস্তাটি। রাস্তা মেরামতের উদ্যোক্তারা জানান, গেল বছর এই বেড়িবাঁধ দিয়ে মাটির ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। বেড়িবাঁধের বানিয়াজুরী অংশে রাস্তার মুখে বেড়া দিয়ে ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেয়া হলেও এ বছর আবার সেই বেড়া খুলে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। যার ফলে মাটির ট্রাক অবাধে চলাচল করায় রাস্তাটি খানাখন্দে পরিণত হয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বানিয়াজুরী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. হানিফ মিয়া জানালেন, ট্রাক চলাচল বন্ধ করা না গেলে বেড়িবাঁধটির রাস্তা ভালো হবে না। বর্ষা মওসুমে চলাচল আরো কষ্টকর হয়ে পড়বে। মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মামুন হাওলাদার জানান, বেড়িবাঁধের বিষয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে সাধারণ মানুষ ও যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।