খেলা
বাংলাদেশ ‘এ’-শ্রীলঙ্কা ‘এ’ সিরিজ
এমন ম্যাচও হারা যায়!
স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল ১২৯ রানে ৭ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল। তবে এমন ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে ম্যাচ ছাড়েন সৌম্য-মিঠুনরা। সাতে নেমে থিসারা পেরেরা ৮৮ বলে করেন ১১১ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১০ বছর আর ২০৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। লঙ্কানদের শেষ তিন উইকেটে যোগ হয় ১৪৬ রান! বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বোলারদের দারুণ শুরুর দিনে এমন হার মেনে নেয়া সত্যি কঠিন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আনঅফিসিয়াল টেস্ট সিরিজে ধুকতে দেখা গেছে স্বাগতিকদের। এরপর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ২৮০ রান করে শেষ রক্ষা হয়েছিল ২ রানের জয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে এখন সিরিজটাই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুনরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও থিসারা পেরেরা বাংলাদেশ দলের জন্য বড় আতঙ্কের নাম। বেশ কয়েকটি সিরিজে টাইগারদের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন লঙ্কান এ অলরাউন্ডার। এবার আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে সিরিজেও তিনি আরো একবার সাফল্য ছিনিয়ে নিলেন ব্যাট হাতে। অন্যদিকে ব্যাট হাতেও দারুণ ব্যর্থ বাংলাদেশ। তারা গুটিয়ে গেছে মাত্র ২০৮ রানে। তাই ৬৭ রানের বড় হার নিয়ে তৃতীয় ম্যাচে এখন সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। দলকে সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচসেরা হন থিসারাই।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এদিন ছিলেন না আগের ম্যাচে ফিফটি করা দুই ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। আরো একটি ম্যাচে রানে ফেরার সুযোগ হারিয়েছেন সৌম্য সরকার। তিন বাউন্ডারিতে ১২ রান করে আউট দ্বিতীয় ওভারেই। টপ ও মিডল অর্ডারের অন্যরা রান করেছেন, কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। ওপেনিংয়ে সাইফ হাসান ২৮ করেন ৩০ বলে, তিনে নেমে জাকির হাসান ৩৭ বলে ৩২। অধিনায়ক মিঠুন ফিরেন ২৫ রানে। সর্বোচ্চ ৪৬ আসে আল আমিনের ব্যাট থেকে। আগের দিন ঝড় তোলা আরিফুল হক এদিন পরিস্থিতি বুঝে উইকেট ধরে খেলছিলেন। কিন্তু ৫৩ বলে ২৭ করে ফিরেন তিনিও। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন বড় ব্যবধানে হার নিয়ে।
লঙ্কানরা ব্যাটিংয়ে নেমেছিল টস জিতে। বাংলাদেশের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বল তুলে দেন অফস্পিনার আল আমিনের হাতে। কাজে আসে কৌশল। প্রথম ওভারেই অভিজ্ঞ থিরিমান্নেকে ফেরান তিনি। বাংলাদেশের দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসালাম শুরুটা ভালো করতে পারেনি গতকাল। এই সুযোগে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন থারাঙ্গা ও আশান প্রিয়াঞ্জন। তবে দুই পাশ থেকে সানজামুল ইসলাম ও নাঈম ইসলামের স্পিন আক্রমণ শুরু হতেই নিয়মিত ধরা দিতে থাকে উইকেট। দারুণ স্পেলে তিনটি উইকেট নেন তরুণ অফস্পিনার নাঈম। বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল নিয়েছেন দুটি, যার মধ্যে ছিল ৫১ বলে ৪৪ রান করা থারাঙ্গার উইকেটও। থারাঙ্গার বিদায়ে উইকেটে গিয়েছিলেন থিসারা। তাকে ক্রিজে রেখেই থিসারাকে এক পাশে রেখে শেহান জয়াসুরিয়া ও মিনোদ ভানুকাও সাজঘরে ফিরেন। তবে মালিন্দা পুস্পকুমারা ভরসা হয়ে থাকেন থিসারার। এক প্রান্ত আগলে রাখেন তিনি আর অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলে থিসারা। অষ্টম উইকেটে ৬১ বলে দুজনের ৭৭ রানের জুটিতে পুস্পকুমারার অবদান ছিল মোটে ৮ রানের। তার বিদায়েও হাল ছাড়েননি থিসারা। আগের দিন শেষ দিকে তিন ছক্কায় ম্যাচ জমিয়ে দেয়া পেসার শেহান মাদুশঙ্কা ৯ চার ও ৫ ছক্কায় বদলে দেন সব চিত্র। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৮০। মাদুশঙ্কা দুটি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩৬ বলে ৩৬। ৩০ ওভারের আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা লঙ্কানরা উল্টো বুক ফুলিয়ে মাঠ ছাড়েন।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এদিন ছিলেন না আগের ম্যাচে ফিফটি করা দুই ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। আরো একটি ম্যাচে রানে ফেরার সুযোগ হারিয়েছেন সৌম্য সরকার। তিন বাউন্ডারিতে ১২ রান করে আউট দ্বিতীয় ওভারেই। টপ ও মিডল অর্ডারের অন্যরা রান করেছেন, কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। ওপেনিংয়ে সাইফ হাসান ২৮ করেন ৩০ বলে, তিনে নেমে জাকির হাসান ৩৭ বলে ৩২। অধিনায়ক মিঠুন ফিরেন ২৫ রানে। সর্বোচ্চ ৪৬ আসে আল আমিনের ব্যাট থেকে। আগের দিন ঝড় তোলা আরিফুল হক এদিন পরিস্থিতি বুঝে উইকেট ধরে খেলছিলেন। কিন্তু ৫৩ বলে ২৭ করে ফিরেন তিনিও। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন বড় ব্যবধানে হার নিয়ে।
লঙ্কানরা ব্যাটিংয়ে নেমেছিল টস জিতে। বাংলাদেশের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বল তুলে দেন অফস্পিনার আল আমিনের হাতে। কাজে আসে কৌশল। প্রথম ওভারেই অভিজ্ঞ থিরিমান্নেকে ফেরান তিনি। বাংলাদেশের দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসালাম শুরুটা ভালো করতে পারেনি গতকাল। এই সুযোগে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন থারাঙ্গা ও আশান প্রিয়াঞ্জন। তবে দুই পাশ থেকে সানজামুল ইসলাম ও নাঈম ইসলামের স্পিন আক্রমণ শুরু হতেই নিয়মিত ধরা দিতে থাকে উইকেট। দারুণ স্পেলে তিনটি উইকেট নেন তরুণ অফস্পিনার নাঈম। বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল নিয়েছেন দুটি, যার মধ্যে ছিল ৫১ বলে ৪৪ রান করা থারাঙ্গার উইকেটও। থারাঙ্গার বিদায়ে উইকেটে গিয়েছিলেন থিসারা। তাকে ক্রিজে রেখেই থিসারাকে এক পাশে রেখে শেহান জয়াসুরিয়া ও মিনোদ ভানুকাও সাজঘরে ফিরেন। তবে মালিন্দা পুস্পকুমারা ভরসা হয়ে থাকেন থিসারার। এক প্রান্ত আগলে রাখেন তিনি আর অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলে থিসারা। অষ্টম উইকেটে ৬১ বলে দুজনের ৭৭ রানের জুটিতে পুস্পকুমারার অবদান ছিল মোটে ৮ রানের। তার বিদায়েও হাল ছাড়েননি থিসারা। আগের দিন শেষ দিকে তিন ছক্কায় ম্যাচ জমিয়ে দেয়া পেসার শেহান মাদুশঙ্কা ৯ চার ও ৫ ছক্কায় বদলে দেন সব চিত্র। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৮০। মাদুশঙ্কা দুটি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩৬ বলে ৩৬। ৩০ ওভারের আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা লঙ্কানরা উল্টো বুক ফুলিয়ে মাঠ ছাড়েন।