দেশ বিদেশ
গণসংবর্ধনায় নির্বাচন সম্পর্কে বার্তা দেবেন শেখ হাসিনা
স্টাফ রিপোর্টার
২০ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণসংবর্ধনা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি (শেখ হাসিনা) নেতাকর্মীদের জন্য দিক নির্দেশামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এবারে গণসংবর্ধনায় হয়তো তিনি জনগণের উদ্দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে বার্তা দেবেন। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনাস্থলের প্রস্তুতি পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে আগামীকাল ওই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। গণসংবর্ধনা প্রকারান্তরে নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মহড়া কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পক্ষ থেকে, জনগণের পক্ষ থেকে এটা তার (শেখ হাসিনা) প্রাপ্য। এই প্রাপ্য তাকে দিতেই হবে। কৃতজ্ঞ জাতি অকৃতজ্ঞ হয়ে যাবে, যদি শেখ হাসিনার প্রাপ্য তাকে দেয়া না হয়। তার যে অর্জন, উন্নয়ন তা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের বিস্ময়। তার প্রতি সম্মান জানাতেই এই সংবর্ধনা। ওবায়দুল কাদের বলেন, সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সংবর্ধনায় জনতার সমুদ্র তৈরি হবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই সংবর্ধনাস্থল প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সেখানে কয়েক লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সারা দেশের সব শাখাকে আমরা আমন্ত্রণ করিনি। তার পরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেতারা আসবেন। এখানে ঢাকা সিটি এবং ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা আসবেন। এ সময় চলো চলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলো, চলো চলো ঢাকা চলো- এই স্লোগান নিয়ে এরই মধ্যে ঢাকার আশপাশের সবাই প্রস্তুতি সভা করে ফেলেছেন বলেও জানান তিনি। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনা বদলে দিয়ে নকল জিনিস রাখা হয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উনি (মির্জা ফখরুল) অনেক কথাই বলবেন। কারণ, উনারা আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। গণতন্ত্র থেকে সাত ধারা তুলে দেয়ার ফলে তাদের মুখে এটা শোভা পায় না। যারা নিজেরাই আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, তাদের মুখে অন্যকে দুর্নীতিবাজ বলা শোভা পায় না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই ঘটনায় কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য (বিউটি) উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ঠিক আছে, সুস্থ বক্তব্য ঠিক আছে, গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলা ঠিক আছে। গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলাই তো গণতন্ত্রের বিউটি। কিন্তু আজ আমাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি বলছে, দেশে গণতন্ত্র নেই। অথচ তারাই অবিরাম অগণতান্ত্রিক ভাষায় তারা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।