বাংলারজমিন

রাসিক নির্বাচন

এক নম্বর ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা মাদক

আসলাম-উদ-দৌলা, রাজশাহী থেকে

২০ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের ভিড়ে আলোচনায় আসে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তবে, স্থানীয় ভোটারদের আগ্রহের কেন্দুবিন্দু থাকেন তারাই। সিটির প্রথম ০১ নম্বর ওয়ার্ড। কোর্ট ও ভারতীয় বর্ডার সন্নিকটে হওয়ায় ওয়ার্ডের গুড়িপাড়া এলাকাটি মাদকের স্বর্গরাজ্যে রূপ নিয়েছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলনামূলক কম। কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা ভোটারদের প্রতি দায়বদ্ধতা, এলাকার উন্নয়ন, মাদক সমস্যার স্থায়ী সমাধান, জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
রাসিকের সর্বপশ্চিমে এক নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থান। মোট ভোটার রয়েছে ১২ হাজার। আর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন পাঁচ জন প্রার্থী।

তারা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মনসুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী, বিএনপি নেতা আলহাজ শহিদ আলম, ইলিয়াস আলী ও আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডের তথ্য এবং প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রানা খান।

বর্তমান মনসুর রহমান এই ওয়ার্ডে একাধারে তিন বার নির্বাচিত কাউন্সিলর। ২০০২, ২০০৮ ও ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
মনসুর রহমান বলেন, তার প্রতিশ্রুতির শতকরা ৭০ ভাগ কাজই সম্পন্ন করতে পারেন নি। তার প্রধান অঙ্গীকার ছিল মাদকমুক্ত ওয়ার্ড এলাকাবাসীকে উপহার দেয়া। এই ওয়ার্ডের গুড়িপাড়া এলাকাটি শুধু রাজশাহী নয়, দেশব্যাপী একটি বড় মাদকজোন হিসেবে খ্যাত। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে ওয়ার্ডটিকে মাদক এবং চোরাচালান পণ্যমুক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পরের বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এ ছাড়া সে সময় মেয়র ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর ২০১৩ সালে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু এই দুই মেয়রের মেয়াদকালেই আমার ওয়ার্ডে উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল অপ্রতুল। এ কারণে উন্নয়নমূলক কাজ আমি সেভাবে করতে পারিনি।
মনসুর রহমানের মূল লড়াইটা হবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলীর সঙ্গে। ২০১৩ সালেও তিনি এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

রজব আলী বলেন, দীর্ঘ দেড় যুগের কাছাকাছি সময় মনসুর রহমান কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু তিনি অবহেলিত এ ওয়ার্ডটি উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। রজব আলী বলেন, এ ওয়ার্ডের প্রয়াত কমিশনার মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেনের সময় রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হয়। এরপর রাস্তা সংস্কার হয়নি। এ ছাড়া ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। বর্তমান কাউন্সিলর সন্ত্রাসীদের মদদ দেন।
এই ওয়ার্ডে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন আরেক আওয়ামী লীগ নেতা রানা খান। তিনি এবার প্রথম কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। তার বাবা আবদুল্লাহ খান রাজশাহী জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলেই একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটাররা দলীয় বিবেচনার চেয়ে এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীর জনপ্রিয়তা ও সখ্যতাকে গুরুত্ব দেবেন বলে জানা গেছে।



   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status