পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বললেন বিপর্যয় নয়, কম পাস

যশোর বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬৬ হাজার ২৫৮ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন। পাসের শতকরা হার ৬০ দশমিক ৪০। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২০৮৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১১৫৮ জন ছেলে ও ৯৩১ জন মেয়ে। যশোর বোর্ডে এবার পাসের হারে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে মেয়েরা। এ বছর ৩৪ হাজার ৬০৬ জন মেয়ে ও ৩১ হাজার ৬৫২ জন ছেলে কৃতকার্য হয়েছেন। গতকাল দুপুরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র যশোর প্রেস ক্লাবে এক অনাড়ম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ফলাফল প্রকাশ করেন। এসময় কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানী, স্কুল পরিদর্শক বিশ্বাস শাহীন আহম্মেদ ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সমীর কুমার কুন্ডু উপস্থিত ছিলেন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, যশোর বোর্ডে গত বছর এইচ এসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক শূন্য ২ ভাগ। যা এ বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হারের এই কমকে তিনি বিপর্যয় না বলে কম পাস করেছে হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, বিশেষ করে ইংরেজি বিষয়ে ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণে মোট ফলাফলের ওপর তার প্রভাব পড়েছে এছাড়া বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের তুলনায় এ বছর মানবিক বিভাগের ফলাফল খারাপ হওয়ায় বোর্ডের সার্বিক ফলাফল গত বছরের তুলনায় খারাপ হয়েছে। এর জন্য তিনি ইংরেজি ২য় বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্ন অপেক্ষাকৃত কঠিন হওয়ার কারণকে দায়ী করেন।

এদিকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষার বোর্ডের আওতায় ৪টি কলেজ থেকে কোনো শিক্ষার্থী কৃতকার্য হতে পারেননি। এগুলো হচ্ছে কুষ্টিয়ার হাজী নুরুল ইসলাম কলেজ, নড়াইলের গোবরা মহিলা কলেজ, খুলনার হাটদা পাবলিক কলেজ ও ঝিনাইদহের প্রগতি মডেল কলেজ। এক প্রশ্নের জবাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, শত ভাগ অকৃকার্য এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।