বাংলারজমিন

খুলনায় মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে

১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

খুলনা অঞ্চলের মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানি দিন দিন কমেছে। উৎপাদন বেশি হলেও বাড়ছে না মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানি। রপ্তানি কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। গেল অর্থ বছরের তুলনায় হিমায়িত চিংড়ি, হিমায়িত মাছ (মিঠা পানি), হিমায়িত (সামুদ্রিক), বরফায়িত মাছ (কোল্ড ফিস), জীবন্ত কুইচ্ছা-কাঁকড়া, চিংড়ির  খোসা ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি কমেছে ১১৬ দশমিক ২৮১ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়িয়েছে ৯৯ দশমিক ৯৮  কোটি টাকা। মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তর খুলনা কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ক্রমপুঞ্জিত মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ২১৭ দশমিক ০৬৯ টন। যার রপ্তানি মূল্য ছিল ৩৩ কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৬ ডলার। আর বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৫৮৮ দশমিক ২৪ কোটি। অপরদিকে, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ক্রমপুঞ্জিত মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ২০০ দশমিক ৭৮৮ টন। যার মূল্য দাঁড়ায় ৩১ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার ৮০ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৬৬ কোটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গলদা, বাগদা, ক্যাট ফিশ, কার্প, ইলিশ, পারশে, ইল, বাইন, সল্ডটেড মাছ, ভেটকী, দাতিনা, কুইচ্ছা, কাঁকড়া, শুঁটকি এসব প্রজাতির মৎস্য চাষ হচ্ছে আমাদের দেশে। এসব মৎস্য চাষ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষি, ফড়িয়া ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আর এসব মৎস্য রপ্তানি করছে আমাদের দেশের মাছ কোম্পানি মালিকরা। এছাড়া রপ্তানি হচ্ছে ফিস স্কেল, হাঙ্গরের পাখনা ও চিংড়ির খোসা। খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু ছাইদ বলেন, খুলনায় বরাবরই মাছের উৎপাদন ভালো। প্রতিবছর চাহিদা অতিরিক্ত মাছ উৎপাদন হয়। বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া, দাম কমে যাওয়া, রপ্তানি পণ্যের গুণগতমান ঠিক না থাকাসহ বিভিন্ন কারণেই রপ্তানি আয় হ্রাস পাচ্ছে। এ বিষয়গুলো শনাক্ত করাসহ সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তর খুলনার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, গেল অর্থ বছরের তুলনায় মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানি আয় কমেছে। মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানি হ্রাসের ব্যাপারে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেনামি চিংড়ির দাম অনেক কম হওয়ায়, আমাদের দেশে হিমায়িত চিংড়ির চাহিদা কমেছে। আর এজন্যই আমাদের দেশে বাগদা চিংড়ির রপ্তানি কমেছে। তিনি আরও বলেন, শুটকি চট্টগ্রাম থেকে, কাঁকড়া (জীবন্ত) ঢাকা থেকে ও কাঁকড়া (নরম) খুলনা থেকে রপ্তানি হয়।’ খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু ছাইদ জানান, বিলুপ্ত প্রায় ৯ প্রজাতির মাছের প্রজনন বাড়াতে ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা নদী, মাড়ুয়ার খাল, মির্জাপুর মরা নদী, দিঘলিয়া উপজেলার হাতিয়ার খাল, তেরখাদা উপজেলার বাশুখালি, সালতিয়া ও আগরখালি খালে সংকটাপন্ন অবস্থায় এসব মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। তিনি এসব

এলাকায় মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ৯০০ পরিবারকে সচেতন করতে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। এ জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে তাদের প্রতিবেশীদেরও উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব হচ্ছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status