বাংলারজমিন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
চাঁদা দাবির অভিযোগে চার ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে যবিপ্রবির ৪ ছাত্রকে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। শোকজ নোটিশপ্রাপ্ত ছাত্ররা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মো. ইলিয়াস হোসেন, একই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র অন্তর দে শুভ, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মো. গোলাম রব্বানী এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইসমে আজম শুভ। এরা সবাই ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মী। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ই জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কিংয়ের (বিডিরেন) কিছু মালামাল আসে। ওই সময় উপরোল্লিখিত চারজন ছাত্র মালামাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেয় এবং ওদের না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হবে না এবং হতে দেয়া হবে না বলে সরবরাহকারীদের জানায় এবং চাঁদা দাবি করে। সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার ও আইপিই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এএসএম মুজাহিদুল হক খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান এবং মালামাল ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ছাত্রদের হাতে অপদস্থ হয়ে উপাচার্যের কাছে ছুটে যান। এরপর উপাচার্য বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতানেত্রীদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টির কোনো সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ায় উপাচার্য প্রক্টোরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিয়ে মালামালসমূহ উদ্ধার করতে যান। তখন ওই চারজন ছাত্র উপাচার্য এবং উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে অযৌক্তিক, অযাচিত ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’ নোটিশে আরো জানানো হয়েছে, ‘আনুমানিক দুই মাস আগে উক্ত ছাত্ররাই ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য আনা ফাইবার অপটিক কেবল চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। তখন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ জাফিরুল ইসলামের সহায়তায় বিষয়টির সুরাহা হয়। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই চারজন ছাত্র বিভিন্ন সময়ে উপাচার্য, অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি এবং অছাত্রসুলভ আচরণ করেছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে ক্যাম্পাসের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও অসদাচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বদ্যিালয়ের গবেষণার কাজে যন্ত্রপাতি আনতে গেলেও ওই ছাত্ররা বাধা সৃষ্টি করে। তাদের চাঁদা দাবির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও ঠিকাদাররা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। ফলে এই চূড়ান্ত শোকজ নোটিশ পাওয়ার পরও যদি তাদের আচরণ ও কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন না হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে ওই ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে সতর্ক করা হয়েছে।