বাংলারজমিন
মুলাদীতে স্ত্রী হত্যায় চারজনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন
বরিশালের মুলাদীতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার ১৮ই জুলাই বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় কামাল হাওলাদার ব্যতীত ৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মুলাদীর চরসাহেব রামপুর এলাকার আ. জলিল সরদারের ছেলে আলমগীর সরদার, মোতাহার কাজীর ছেলে লিটন কাজী, আ. মান্নান হাওলাদারের ছেলে কালাম হাওলাদার ও রফিজ উদ্দিন সরদারের ছেলে রিপন সরদার।
আদালতের বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির জানান, তিন সন্তান ও স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ২০১০ সালের ২২শে জুলাই আসামি আলমগীর সরদার চট্টগ্রামের মেয়ে ও গার্মেন্ট শ্রমিক শাহানাজকে বিবাহ করে। বিবাহের পর ঢাকায় দুজনে একসঙ্গে বসবাস করে। এর পরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলতে থাকে। মনোমালিন্যের কারণে শাহানাজ চট্টগ্রামে চলে যায়। পরে শাহাজানের ভাই জানতে পারে আলমগীর আগের স্ত্রী ও সন্তানদের কথা গোপন রেখে শাহানাজকে বিবাহ করে। বিবাহের বিষয়টি শুনে শাহানাজ ভেঙে পড়ে। প্রতারণার অভিযোগে আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়া শাহানাজ মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতি সদস্য বদিউজ্জামান বাদলের বাসায় কাজ নেয়। এতে আসামিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়। মামলার ভয়ে শাহনাজকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহানাজের সঙ্গে সংসার করবে বলে অঙ্গীকার করে।
এরপরে ২০১১ সালের ২৭শে অক্টোবর মাদারীপুরের আইনজীবী বদিউজ্জামানের বাসা থেকে আলমগীরের সঙ্গে দেখা করার জন্য বের হয় শাহানাজ। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় চরসাহেবপুর লঞ্চঘাটে পৌঁছায়। এ সময় সাক্ষীরা তাদের দেখতে পায়। এরপরে লিটনের ট্রলারযোগে হাওরাভাঙা চরে নামে। চরে নেমে কালাম ও রিপন শাহানাজকে চেপে ধরে। আলমগীর শাহানাজের পেটে লাথি মারে, কানের লতি ফাটিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই শাহানাজের মৃত্যু হয়। পরে শাহানাজকে নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশ নদী থেকে শাহানাজের লাশ উদ্ধার করে এবং ছবি সংবলিত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সাক্ষীরা তাকে চিনতে পারে। এ ঘটনায় মুলাদী থানার এসআই উত্তম কুমার দাশ বাদী হয়ে ২৮শে অক্টোবর মামলা করেন। ২০১৩ সালের ২১শে নভেম্বর ডিবির এসআই নুরুল ইসলাম চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গতকাল ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
বুধবার ১৮ই জুলাই বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় কামাল হাওলাদার ব্যতীত ৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মুলাদীর চরসাহেব রামপুর এলাকার আ. জলিল সরদারের ছেলে আলমগীর সরদার, মোতাহার কাজীর ছেলে লিটন কাজী, আ. মান্নান হাওলাদারের ছেলে কালাম হাওলাদার ও রফিজ উদ্দিন সরদারের ছেলে রিপন সরদার।
আদালতের বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির জানান, তিন সন্তান ও স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ২০১০ সালের ২২শে জুলাই আসামি আলমগীর সরদার চট্টগ্রামের মেয়ে ও গার্মেন্ট শ্রমিক শাহানাজকে বিবাহ করে। বিবাহের পর ঢাকায় দুজনে একসঙ্গে বসবাস করে। এর পরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলতে থাকে। মনোমালিন্যের কারণে শাহানাজ চট্টগ্রামে চলে যায়। পরে শাহাজানের ভাই জানতে পারে আলমগীর আগের স্ত্রী ও সন্তানদের কথা গোপন রেখে শাহানাজকে বিবাহ করে। বিবাহের বিষয়টি শুনে শাহানাজ ভেঙে পড়ে। প্রতারণার অভিযোগে আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়া শাহানাজ মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতি সদস্য বদিউজ্জামান বাদলের বাসায় কাজ নেয়। এতে আসামিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়। মামলার ভয়ে শাহনাজকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহানাজের সঙ্গে সংসার করবে বলে অঙ্গীকার করে।
এরপরে ২০১১ সালের ২৭শে অক্টোবর মাদারীপুরের আইনজীবী বদিউজ্জামানের বাসা থেকে আলমগীরের সঙ্গে দেখা করার জন্য বের হয় শাহানাজ। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় চরসাহেবপুর লঞ্চঘাটে পৌঁছায়। এ সময় সাক্ষীরা তাদের দেখতে পায়। এরপরে লিটনের ট্রলারযোগে হাওরাভাঙা চরে নামে। চরে নেমে কালাম ও রিপন শাহানাজকে চেপে ধরে। আলমগীর শাহানাজের পেটে লাথি মারে, কানের লতি ফাটিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই শাহানাজের মৃত্যু হয়। পরে শাহানাজকে নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশ নদী থেকে শাহানাজের লাশ উদ্ধার করে এবং ছবি সংবলিত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সাক্ষীরা তাকে চিনতে পারে। এ ঘটনায় মুলাদী থানার এসআই উত্তম কুমার দাশ বাদী হয়ে ২৮শে অক্টোবর মামলা করেন। ২০১৩ সালের ২১শে নভেম্বর ডিবির এসআই নুরুল ইসলাম চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গতকাল ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।