বাংলারজমিন
নবীগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন
নবীগঞ্জে বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক কলেজ শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং ও হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে দু’জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নবীগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পৌর এলাকার মদনপুর গ্রামের জলফু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রধান অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দ্বীপন আহমদ মুন্না পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল শহরে বিক্ষোভ মিছিল, অবরোধ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী ও থানার ওসি এসএম আতাউর রহমান। এ নিয়ে কলেজপাড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুুলিশ ও কলেজ সূত্রে প্রকাশ, কলেজের জনৈক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করা অভিযোগে কলেজের তরফ থেকে গত সোমবার নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এ নিয়ে সমঝোতার উদ্যোগ নেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন। থানায় অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় বখাটে ছাত্রলীগ নেতা মুন্না। মঙ্গলবার সে তার গ্রুপ নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদের উপর হামলা চালিয়ে তাকে প্রাণনাশের চেষ্টা করে। এ সময় পরীক্ষা হল থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে এলে মুন্না দ্রুত মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। তবে তার সহযোগী একই গ্রামের জলফু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে অবিলম্বে সন্ত্রাসী মুন্নাকে গ্রেপ্তারের জন্য শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কলেজের ইতিহাসে নজিরবিহীন এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
গতকাল আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে অবিলম্বে সন্ত্রাসী মুন্নাকে গ্রেপ্তারের জন্য শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কলেজের ইতিহাসে নজিরবিহীন এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।