বাংলারজমিন

নারায়ণগঞ্জে হালিম হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে

১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:০৭ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি আবদুল হালিম (৩৪) হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে লাশ গুম করার অপরাধে  দণ্ডিত  ৪ জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এই রায় প্রদান দেন। রায় প্রদানকালে ৭ আসামিদের মধ্যে ৩ আসামি উপস্থিত ছিল এবং ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক রয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাদেকুর রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, সোহাগ এবং বাবু কাজী। বেকসুর খালাস প্রাপ্তরা হলেন- মোক্তার হোসেন, মো. মেহেদী ও আবুল হোসেন। রায় ঘোষণার সময় এদের তিনজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন আসামি সাদেক। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে তিনি পলাতক রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের স্বজনরা।
মামলার সূত্রমতে, ২০১৪ সালের ১৫ই আগস্ট বন্ধু ইকবালের কাছে পাওনা ৫ লাখ টাকা আদায় করতে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ফতুল্লার কাশিপুর দেওয়ানবাড়ী এলাকার হাজী আফসার উদ্দিনের ছেলে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী হালিম উদ্দিন। এর একদিন পর ১৭ই আগস্ট ডোবা থেকে হাত-পা বিহীন বস্তাবন্দি অবস্থায় হালিম উদ্দিনের পাঁচ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত হালিম উদ্দিনের ছোট ভাই শামীম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি সাদেকুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে এবং জড়িত আসামিদের নাম উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে সে জানায়, পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে বন্ধু ইকবাল হোসেন তার বাসায় ডেকে নিয়ে হালিম উদ্দিনকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাতের পর গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ ৫ টুকরো করে সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকায় ডোবায় ফেলে দেয় আসামিরা। এই ঘটনার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৭ সালের ২৩শে মার্চ ৭ জনকে আসামি এবং ২৫ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status