বাংলারজমিন
অসহায় বৃদ্ধ’র পাশে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ আদিল উদ্দিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি। বৃদ্ধা স্ত্রী, প্রতিবন্ধী ছেলে, বিধবা মেয়ে ও তার সংসার চালানোর জন্য ২ মাসের খরচ নিজের পকেট থেকে দিয়েছেন ইউএনও। এছাড়াও তার প্রতিবন্ধী ছেলের একটি কার্ড করে দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। জানা যায়, রোববার সকালে শৈলকুপা থেকে ঝিনাইদহ শহরে আসার পথে গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে বৃদ্ধ আদিল উদ্দিনকে ভ্যান চালাতে দেখেন তিনি। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে যাওয়া শরীর নিয়েও ভ্যান চালাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি চোখে পড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। দুপুরে অফিসে ফিরে লোকটির ঠিকানা সন্ধান করে সোমবার তার অফিসে ডাকেন ইউএনও। পরে ২ মাস সংসার চালানো খরচ দেন ও তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে একটি কার্ড করে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি বলেন, ‘গাড়াগঞ্জ স্ট্যান্ডে অতি বৃদ্ধ এবং বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে যাওয়া একজন ব্যক্তি খুব ধীরে ধীরে যাত্রীসহ পা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে যাওয়া চোখে পড়লো। দৃশ্যটি প্রথমে দেখে খুবই খারাপ লাগলো। জানা গেল, লোকটি এই এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমি ঐ ব্যক্তির ঠিকানা যোগাড় করতে বলি। পরে জানতে পারি, লোকটির নাম মো. আদিল উদ্দিন তার বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে। সঙ্গে দেখা করার জন্য তাকে সংবাদ দেয়া হয়। সোমবার সকালে ভ্যান চালিয়ে তিনি আমার অফিসে আসেন। আলাপকালে তার পরিবারের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। লোকটির এক ছেলে প্রতিবন্ধী। অন্য ছেলে ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করে, কিন্তু বাবার খোঁজ রাখে না। তিন মেয়ে বিবাহিত। এক মেয়ে বিধবা হয়ে বাবার সংসারেই থাকে। বৃদ্ধা স্ত্রী, প্রতিবন্ধী ছেলে, বিধবা মেয়েসহ ৪ সদস্যর সংসার তার। সংসারে একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি বলতে তিনি নিজেই। বয়সের কারণে সোজা হয়ে হাঁটতে পারে না। কিন্তু জীবন বাঁচানোর তাগিদে প্রতিদিন ভ্যান নিয়ে বাইরে যেতে হয় তাকে। দ্রুত ভ্যান চালাতে পারেন না বলে তার ভ্যানে কেউ উঠতে চায় না বলেও তিনি জানান। দিনে ৪০-৫০ টাকা আয় হয়। তাই দিয়ে কোনরকম সংসার চলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি বলেন, ‘গাড়াগঞ্জ স্ট্যান্ডে অতি বৃদ্ধ এবং বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে যাওয়া একজন ব্যক্তি খুব ধীরে ধীরে যাত্রীসহ পা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে যাওয়া চোখে পড়লো। দৃশ্যটি প্রথমে দেখে খুবই খারাপ লাগলো। জানা গেল, লোকটি এই এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমি ঐ ব্যক্তির ঠিকানা যোগাড় করতে বলি। পরে জানতে পারি, লোকটির নাম মো. আদিল উদ্দিন তার বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে। সঙ্গে দেখা করার জন্য তাকে সংবাদ দেয়া হয়। সোমবার সকালে ভ্যান চালিয়ে তিনি আমার অফিসে আসেন। আলাপকালে তার পরিবারের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। লোকটির এক ছেলে প্রতিবন্ধী। অন্য ছেলে ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করে, কিন্তু বাবার খোঁজ রাখে না। তিন মেয়ে বিবাহিত। এক মেয়ে বিধবা হয়ে বাবার সংসারেই থাকে। বৃদ্ধা স্ত্রী, প্রতিবন্ধী ছেলে, বিধবা মেয়েসহ ৪ সদস্যর সংসার তার। সংসারে একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি বলতে তিনি নিজেই। বয়সের কারণে সোজা হয়ে হাঁটতে পারে না। কিন্তু জীবন বাঁচানোর তাগিদে প্রতিদিন ভ্যান নিয়ে বাইরে যেতে হয় তাকে। দ্রুত ভ্যান চালাতে পারেন না বলে তার ভ্যানে কেউ উঠতে চায় না বলেও তিনি জানান। দিনে ৪০-৫০ টাকা আয় হয়। তাই দিয়ে কোনরকম সংসার চলে।