এক্সক্লুসিভ
শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় দুলাভাইয়ের হাতে বৃষ্টি খুন
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় প্রিয়া ওরফে বৃষ্টিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে তারই দুলাভাই রিয়াজ ওরফে সুমন। সোমবার রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রিয়াজকে মিরপুর পাইকপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল দুপুরে কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান। তিনি বলেন, ‘সোমবার তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মগবাজারের বৈকালী আবাসিক হোটেলে ৪০৭ নম্বর রুমে ওঠেন। এ সময় সুমন বৃষ্টির সঙ্গে জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক করতে চান। বৃষ্টি এতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডতা হয়। এক পর্যায়ে সুমন বৃষ্টির ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন। বিষয়টি ভিন্ন দিকে নিতে ওড়নার এক অংশ গলায় পেঁচিয়ে অন্য অংশ দাঁত দিয়ে কেটে হোটেল রুমের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। নাস্তার কথা বলে এক ঘণ্টা পর রুমে ফিরে আসেন। এ সময় সুমন হোটেলের লোকজনকে বলেন, প্রিয়া গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে হোটেলের লোকজন এলে সুমন নিজেই ঝুলন্ত প্রিয়াকে ওপর থেকে নামিয়ে মাথায় পানি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। স্বজনরা মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করে।’ র্যাব জানায়, ঘটনার দিনই সুমনকে প্রধান আসামি করে বৃষ্টির বাবা আনোয়ার হোসেন রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মঙ্গলবার মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানিয়েছেন তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়িচালক। আর বৃষ্টি তেজগাঁও এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ২০১০ সালে বৃষ্টির বড়বোনের সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। দুই তিন বছর ধরে সুমন তার শ্যালিকাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে বৃষ্টির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। এটা স্বাভাবিকভাবে না নিতে পেরে বৃষ্টিকে হোটেলে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়।