বাংলারজমিন
জরাজীর্ণ ঘরে কাদা পানিতে পাঠদান
মো. হাফিজুর রহমান, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) থেকে
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিক্ষার্থী আছে, শিক্ষক আছে শুধু নেই পাঠদান করার মতো কোনো উপযুক্ত ভবন। জরাজীর্ণ টিনের ছাপড়া ঘরে কাদা পানির মধ্যে বৃষ্টির দিনে শিক্ষার্থীদের ভিজে ক্লাস করতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পার হলেও সরকারিভাবে আজও নির্মাণ হয়নি কোনো ভবন। পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী এস দাখিল মাদরাসার এ চিত্র। ১৯৭৮ সালে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২০০২ সালে এটি এমপিওভুক্ত হয়। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ২২ জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ১২ জন এমপিওভুক্ত রয়েছেন। ২টি টিনের ছাপড়া দেয়া ঘর থাকলেও তা একেবারে জরাজীর্ণ। টিনের ছাউনি দিয়ে পানি পড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা ভিজে আবার কেউ ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করে। তেমনি জোয়ারের পানিতে মাঠ তলিয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষেও পানি ঢুকে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সরকার এ উপজেলায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণের বরাদ্দ দিলেও এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দিকে কর্তৃপক্ষের কোনো দৃষ্টি নেই। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একাধিকবার স্থানীয় সংসদ সদস্য বিভিন্ন দপ্তরে ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করলেও তা কোন কাজে আসছে না। অভিভাবকদের দাবি শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠদান অব্যাহত রাখতে জরুরিভাবে ভবন নির্মাণ প্রয়োজন। ওই মাদরাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তার জানান, বৃষ্টির মৌসুমে আমাদেরকে ভিজে কষ্ট করে ক্লাস করতে হয়। পত্তাশী এস দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা তাজাম্মুল হোসাইন জানান, জরাজীর্ণ ভবনে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীদের বৃষ্টি কাদার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে। দ্রুত ভবন নির্মাণ প্রয়োজন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মীর এ কে এম আবুল খায়ের জানান, পত্তাশী এস দাখিল মাদরাসার ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা দেয়া আছে। পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ সাপেক্ষে নির্মাণ করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী জানান, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আমি পরিদর্শন করেছি। টিনশেডের ঘরগুলো একেবারে জরাজীর্ণ। ক্লাস করার কোনো পরিবেশ নেই। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভবন নির্মাণ প্রয়োজন।