বিশ্বজমিন
‘টানা ২ দিন ঘুমাতে দেয় নি পুলিশ’
মানবজমিন ডেস্ক
১৮ জুলাই ২০১৮, বুধবার, ১২:০৯ অপরাহ্ন
মিয়ানমারে আটক দুই সাংবাদিক তাদের ওপর চালানো পুলিশি নির্মমতার বর্ণনা দিলেন। বললেন, তাদেরকে টানা দু’দিনেরও বেশি সময় ঘুমাতে দেয়া হয় নি। গোপন এক বন্দিশালায় নেয়ার সময় তাদের মাথা কালো কাপড়ে ঢেলে দেয়া হয়েছিল। তারপর যেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে তাদেরকে বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে দু’সপ্তাহ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। উল্লেখ্য, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানোর সময় এ নিয়ে রিপোর্ট করছিলেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কাইওয়া সোয়ে ও (২৮)। তাদের কাছে গোপন ডকুমেন্ট আছে এমন অভিযোগে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ওই দুই সাংবাদিক এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ বিষয়ে ইয়াঙ্গুনে একটি আদালতে দু’দিন নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওয়া লোন। তিনি বলেন, তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ফাঁদ পাতে। তাদের বিরুদ্ধে গোপন ডকুমেন্ট থাকার যে অভিযোগ পুলিশ করছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা আমার কাছে থাকা গোপন ডকুমেন্টের বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করে নি। উল্টো তারা প্রশ্ন করেছে রাখাইনের মংডুতে রিপোর্ট করা নিয়ে। সে বিষয়ে তারা তদন্ত করেছে। তিনি আদালতকে বলেছেন, এমন অবস্থায় অনেক ঘন্টা আমাকে ঘুমাতে দেয়া হয় নি। তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই থাকে। এতে আমি নিঃশ্বেষিত হয়ে গিয়েছিলাম। এই দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের সময় তারা রাখাইনের ইন ডিন গ্রামে ১০ জন রোহিঙ্গা পুরুষ ও বালককে হত্যার বিষয়ে অনুসন্ধান করছিলেন। ওই ১০ জনকে হত্যা করা হয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময়। সেনাবাহিনীর নৃশংসতায় ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা গত বছর পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘ একে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। রয়টার্সের এ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে তাদের সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল হতে পারে। তবে তারা নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]