অনলাইন
সেদ্ধ না করেই কাঁচা কলা ভর্তা
পিয়াস সরকার
১৮ জুলাই ২০১৮, বুধবার, ১২:০৫ অপরাহ্ন
কাঁচা কলার ভর্তা তো অনেকেই খেয়েছেন। কিন্তু কাঁচা কলা সেদ্ধ না করে ভর্তা করে খেয়েছেন কি কখনো? অধিকাংশ মানুষের কাছেই অপরিচিত এই খাবারটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে। আবার তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার দিয়ে কলা ভবনের দিকে এগিয়ে গেলে কানে আসবে ঠুং ঠাং শব্দ। শব্দের উৎসের দিকে চোখ পড়তেই দেখা যায় ভ্যানের মাঝে কাঁচা কলা ভর্তার দোকান নিয়ে বসেছে কিছু বিক্রেতা। এবার জেনে নেয়া টক, ঝাল, মিষ্টি কাঁচা কলা ভর্তার রেসেপি। ২টি কাঁচা কলা, ৬-৭টি জলপাই, ২ চামচ তেঁতুলের আচার, পরিমান মত মরিচ, লবন, চিনি, সরিষার তেল, ধনিয়া পাতা হামালে রেখে দিস্তা দিয়ে ভর্তা করা হয়। মিহি ভর্তা হবার পর কাসুন্দি মিশিয়ে পরিবেশন করা হয় ক্রেতাদের কাছে। ৪-৫ বাটি ভর্তা তৈরি হয় প্রতিবার, প্রতি বাটি ভর্তার দাম রাখা হয় ২০ টাকা।
দোকান গুলোর সামনে ভিড় করে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় অপেক্ষা করে ভর্তা কিনছেন অনেকেই। স্বাধ সম্বন্ধে জানতে চাইলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুব্রত চন্দ্র খেতে খেতে বলেন, আজ আমি প্রথম খাচ্ছি। এই ভর্তা খাবার জন্য ধানমন্ডি থেকে এসেছি। এখন মনে হচ্ছে এতদুর থেকে আসাটা বৃথা হয় নাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রথি সাজ্জাদ বলেন, প্রায় প্রতিদিন খাই। অনেক ভাল লাগে খেতে।
প্রায় ৪ বছর আগে এই ভিন্ন ধর্মী ভর্তার দোকান দিয়ে বসেন রফিক মিয়া। তাকে না পাওয়া গেলেও তার ছেলে ইব্রাহীম মিয়া জানান, তার বাবা আগে মৌসুমি ফল কেটে ঝাল, লবন মাখিয়ে বিক্রি করতেন। হঠাৎ একদিন ভুলে ফলের ভিতর কাঁচা কলা দিয়ে ফেলেন। তারপর তার এই ভুল থেকে দাঁড়িয়ে যায় ভিন্ন ধারার ভর্তার দোকান। কথা হয় আরেক জন বিক্রেতার সঙ্গে। আবুল হোসেন বলেন, আগে ঝাল মুড়ি বিক্রি করতাম। আগের থেকে আমার লাভ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
এই ভর্তার ভ্রাম্যমান দোকানগুলো কলা ভর্তার পাশাপাশি মেলে আম ভর্তা, বড়ই ভর্তা, আমড়া ভর্তা ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পাশাপাশি এসব ভর্তার দোকানের দেখা মিলছে ধানমন্ডি লেক, চন্দ্রিমা উদ্দ্যান, গুলশান লেক, হাতিরঝিল ইত্যাদি এলাকায়।