দেশ বিদেশ
ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি
বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার
১৮ জুলাই ২০১৮, বুধবার, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের একের পর এক হামলা, শিক্ষক নাজেহাল, ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে গতকালও কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এদিকে বারবার ক্যাম্পাসে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান বা প্রতিহতে ব্যর্থ প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক নাজেহাল হওয়ার ঘটনায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকরা। দুপুরে বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের প্রবেশমুখে কালো ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে তাদের নিরাপত্তা না দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আটক শিক্ষার্থীদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানায়। মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ‘এমন ক্যাম্পাসই কি আমরা চেয়েছিলাম?’, ‘ক্যাম্পাস অনিরাপদ কেন?’, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে আমরা কেন আক্রান্ত?’ লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করে। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে আমরাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের শিক্ষকদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, আমাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন চুপ করে বসে আছে। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপদ থাকতে চাই। নির্ভয়ে ক্লাসে আসতে চাই।’ তারা বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যেসব অন্যায়-অত্যাচার হচ্ছে তার বিচার দাবির অধিকার আমাদের রয়েছে। কিন্তু সেই স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’ এসময় এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২রা জুন আমাদের বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিঠুকে শাহবাগ ওভারব্রিজের ওপর থেকে ধরে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু সন্ত্রাসী পাবলিক লাইব্রেরির মধ্যে নিয়ে মারধর করে। সে এখনো অসুস্থ। তার চিকিৎসার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় বহন করছে না।’ অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র হয়ে যারা অন্য ছাত্র ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় তারা যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তা বলতে লজ্জা লাগে। তারা শিক্ষার্থী নয়, তারা সন্ত্রাসী।’
প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে স্মারকলিপি: এদিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দেয়া প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করেছে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর দেয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবি করেন তারা। এছাড়াও স্মারকলিপিতে গত কয়েকদিনে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ১৪ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ একাডেমিক শাস্তির দাবি করেছে তারা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি পড়ে শোনান রেজা আবু রায়হান। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। এসময় ভিসি স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং নিয়মনীতি অনুসরণ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ধ্বংস করে এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে আটক ছাত্রদের মুক্তির দাবিতে লাগাতার প্রতিবাদের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ই জুলাই শহীদ মিনারে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করা হলে সেখানে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। বারবার হামলা ও নিপীড়নে অংশ নেয়া এসব সন্ত্রাসীর ছবি ও ফুটেজ গণমাধ্যমে আসলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল টিমের অব্যাহত ব্যর্থতায় তাদের প্রতি আর বিন্দুমাত্র আস্থা রাখতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। তাই তারা অবিলম্বে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছেন। এতে আরো বলা হয়, প্রতিনিয়ত নিপীড়ক সন্ত্রাসী বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে টহল দিয়ে, নানা জায়গায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হামলা করে, লাঞ্ছিত করে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামহানি করছে। একইসঙ্গে এই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ধারাবাহিক নিষ্ক্রিয়তা শিক্ষার্থীদের সুস্থ-স্বাভাবিক-গণতান্ত্রিক পরিবেশে নিরাপদে পড়াশুনা চালিয়ে যাবার পথে বাধার সৃষ্টি করছে। ফলে আমরা এরকম হতাশাজনক পরিস্থিতিতেও আশা করবোÑ উক্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক, জোর-জুলুম মুক্ত, ভয়ভীতিহীন, দখলদারিত্ব মুক্ত নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে সৃষ্টি হওয়া ভয়-ভীতি-নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ থেকে ছাত্র-শিক্ষকদের মুক্ত করবেন। অন্যথায়, ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা ও আস্থাহীনতার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তৈরি হওয়া ছাত্র-শিক্ষক অসন্তোষ ভবিষ্যতে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে বলে ধারণা করছি।
প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে স্মারকলিপি: এদিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দেয়া প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করেছে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর দেয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবি করেন তারা। এছাড়াও স্মারকলিপিতে গত কয়েকদিনে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ১৪ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ একাডেমিক শাস্তির দাবি করেছে তারা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি পড়ে শোনান রেজা আবু রায়হান। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। এসময় ভিসি স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং নিয়মনীতি অনুসরণ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ধ্বংস করে এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে আটক ছাত্রদের মুক্তির দাবিতে লাগাতার প্রতিবাদের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ই জুলাই শহীদ মিনারে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করা হলে সেখানে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। বারবার হামলা ও নিপীড়নে অংশ নেয়া এসব সন্ত্রাসীর ছবি ও ফুটেজ গণমাধ্যমে আসলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল টিমের অব্যাহত ব্যর্থতায় তাদের প্রতি আর বিন্দুমাত্র আস্থা রাখতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। তাই তারা অবিলম্বে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছেন। এতে আরো বলা হয়, প্রতিনিয়ত নিপীড়ক সন্ত্রাসী বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে টহল দিয়ে, নানা জায়গায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হামলা করে, লাঞ্ছিত করে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামহানি করছে। একইসঙ্গে এই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ধারাবাহিক নিষ্ক্রিয়তা শিক্ষার্থীদের সুস্থ-স্বাভাবিক-গণতান্ত্রিক পরিবেশে নিরাপদে পড়াশুনা চালিয়ে যাবার পথে বাধার সৃষ্টি করছে। ফলে আমরা এরকম হতাশাজনক পরিস্থিতিতেও আশা করবোÑ উক্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক, জোর-জুলুম মুক্ত, ভয়ভীতিহীন, দখলদারিত্ব মুক্ত নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে সৃষ্টি হওয়া ভয়-ভীতি-নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ থেকে ছাত্র-শিক্ষকদের মুক্ত করবেন। অন্যথায়, ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা ও আস্থাহীনতার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তৈরি হওয়া ছাত্র-শিক্ষক অসন্তোষ ভবিষ্যতে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে বলে ধারণা করছি।