বাংলারজমিন
যশোরে গণপিটুনিতে ধর্ষক নিহত
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
১৮ জুলাই ২০১৮, বুধবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
যশোরের পল্লীতে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ইরাদত হোসেন (৩০) নামের ওই ধর্ষককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে। যশোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত ইরাদত হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক নারী ও শিশু ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। সে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলায় জেলও খেটেছে। পরে উচ্চ আদালতের রায়ে সে ৬ মাস আগে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে আসে।
যশোরের বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হায়াৎ মাহমুদ জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে জগন্নাথপুর গ্রামের হাবিব খানের ছেলে ইরাদত খান ওরফে ইরাদ প্রতিবেশী আবদুল মোতালেবের স্ত্রী মেহেরুন্নেসা (৭০) নামের এক বৃদ্ধাকে ভাত রান্নার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর বিকেল থেকে ওই বৃদ্ধাকে খুঁজে না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ইরাদকে সন্দেহ করে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। এতে উত্তেজিত হয়ে লোকজন তাকে গণপিটুনি দিয়ে মারাত্মক জখম করে। মারপিটের এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, ওই বৃদ্ধাকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ তার বাড়ির পাশে মুরগির ঘরে প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে রয়েছে। সন্ধ্যায় ওই প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে থেকে এলাকাবাসী বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে। আর গণপিটুনির শিকার ইরাদকে এলাকাবাসী স্থানীয় চিকিৎসক আবদুল হাইয়ের কাছে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা রাত ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ইরাদতকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ধর্ষক ইরাদ আলী মৃত্যুবরণ করে। এসআই হায়াৎ মাহমুদ জানান, ইরাদের সারাদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার ডান পা ভাঙা ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইরাদ এলাকায় খুব খারাপ প্রকৃতির লোক বলে পরিচিত। বছরখানেক আগে একই এলাকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে সে গ্রেপ্তার হয়। মাস ছয়েক আগে সে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হয়। এরপর সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
যশোরের বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হায়াৎ মাহমুদ জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে জগন্নাথপুর গ্রামের হাবিব খানের ছেলে ইরাদত খান ওরফে ইরাদ প্রতিবেশী আবদুল মোতালেবের স্ত্রী মেহেরুন্নেসা (৭০) নামের এক বৃদ্ধাকে ভাত রান্নার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর বিকেল থেকে ওই বৃদ্ধাকে খুঁজে না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ইরাদকে সন্দেহ করে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। এতে উত্তেজিত হয়ে লোকজন তাকে গণপিটুনি দিয়ে মারাত্মক জখম করে। মারপিটের এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, ওই বৃদ্ধাকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ তার বাড়ির পাশে মুরগির ঘরে প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে রয়েছে। সন্ধ্যায় ওই প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে থেকে এলাকাবাসী বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে। আর গণপিটুনির শিকার ইরাদকে এলাকাবাসী স্থানীয় চিকিৎসক আবদুল হাইয়ের কাছে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা রাত ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ইরাদতকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ধর্ষক ইরাদ আলী মৃত্যুবরণ করে। এসআই হায়াৎ মাহমুদ জানান, ইরাদের সারাদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার ডান পা ভাঙা ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইরাদ এলাকায় খুব খারাপ প্রকৃতির লোক বলে পরিচিত। বছরখানেক আগে একই এলাকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে সে গ্রেপ্তার হয়। মাস ছয়েক আগে সে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হয়। এরপর সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।