বাংলারজমিন

রূপগঞ্জে ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকের মডেল টেস্ট

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে

১৮ জুলাই ২০১৮, বুধবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন

রূপগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর মডেল টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর চার দিন আগে ১২ই জুলাই কোমলমতি পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে যায় প্রশ্নের কপি। ১১৫ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিন শতাধিক কিন্ডারগার্টেনের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বেশকিছু ছাত্রছাত্রীর হাতে চলে গেছে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের কপি।
রূপগঞ্জ উপজেলার সব মডেল টেস্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্ন হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহজে তা ছড়িয়ে পড়ছে। মুহূর্তে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ও এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে এবং এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অন্য শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রশ্নের কপি। আর এ প্রশ্ন দেখেই ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয় পরীক্ষায়।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিস নির্বিকার। তারা বলছেন, এর দায় প্রধান শিক্ষকদের। প্রধান শিক্ষকরা কেউ কেউ বলছেন, প্রশ্ন প্রণয়ন, কম্পিউটার কম্পোজ, প্রশ্ন দেখা, প্রশ্ন ছাপা, প্রশ্ন শিক্ষা অফিসে বিতরণ ও সংরক্ষণের কোনো এক জায়গায় ত্রুটি হলেই প্রশ্ন ফাঁস হয়। তবে, প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ তাদের দায়বদ্ধতা আছে। প্রশ্ন ছাপা ও সংরক্ষণের দায়বদ্ধতা থাকলে ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে। সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া কোনো স্কুলের মালিক কিংবা কিন্ডারগার্টেন সমিতির কোনো কর্মকর্তাকে এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া উচিত নয় বলে শিক্ষক শিক্ষিকারা মনে করছেন। আজ ১৮ই জুলাই বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের ৪নং এ আছে ক. অপারেশন সার্চলাইট কী? খ. কত সালে পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল? গ. বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শনের নাম লেখ। ঘ. বাংলাদেশের অর্থনীতির শতকরা কতভাগ কৃষি থেকে আসে? ঙ. অতিরিক্ত জনসংখ্যা কি? চ. দুর্যোগ কাকে বলে? ছ. বেগম রোকেয়া কে ছিলেন?। উল্লেখ্য, ১৬ই জুলাই ইংরেজি পরীক্ষা ও ১৭ই জুলাই বাংলা পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। ১৫ই জুলাই উপজেলা শিক্ষা অফিস মডেল টেস্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্ধারিত প্রধান শিক্ষকদের কাছে প্রশ্ন হস্তান্তর করেন। কিন্তু পরীক্ষার ৪ দিন আগে ১২ই জুলাই রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এ পরীক্ষার প্রশ্ন। প্রশ্নের কপি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও আছে যা পরীক্ষার পর মূল প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার জায়েদা আখতার বলেন, এমন অভিযোগ এর আগে তার কাছে কেউ করেনি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি হয়ে থাকে তাহলে খুবই দুঃখজনক। আমি নিজে বিষয়টি দেখবো।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status