এক্সক্লুসিভ
রাজধানীতে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে নিহত ৩
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ জুলাই ২০১৮, বুধবার, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর রূপনগরে দুটি বাস-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শিশুসহ ৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিহতরা হলেন- লেগুনা চালক হান্নান (২১), স্থানীয় অক্সফোর্ড মডেল একাডেমির দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র তাওহীদ (৮) এবং শহিদুল (৬৫)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০ জন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে রূপনগরের বিরুলিয়া বেড়িবাঁধে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের অধিকাংশই লেগুনার যাত্রী। আহতদের কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও মিরপুরের সেলিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় স্থানীয়রা। তাতে যোগ দেন মিরপুর ও উত্তরা ফায়ার স্টেশনের দমকলকর্মীরা। মিরপুর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. মুজিবুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ছুটে যাই। এতে বেশকিছু যাত্রী আহত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই লেগুনার যাত্রী। দমকলকর্মীরা গিয়ে চাপা পড়া অবস্থা থেকে লেগুনা চালক হান্নানকে উদ্ধার করে। নাদিরা আক্তার (২৫) নামে অপর এক নারীকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে আরো তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। রেজাউল করিম (৫৫) নামে অপর এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই অধিকাংশ হতাহতকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। নিহত তাওহীদকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনায় আহত হন তার পিতা মোক্তার হোসেনও। তাকে মিরপুর সেলিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর নিহত লেগুনা চালক হান্নান মিরপুরের প্রথম লেনে ২৮৪/বি হোল্ডিংয়ে থাকতেন। তার পিতার নাম সিরাজ হাওলাদার। রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. শাহ আলম জানান, ‘মায়ের দোয়া’ পরিবহনের বাসটি উত্তরার দিকে যাচ্ছিল। আর লেগুনাটির গন্তব্য ছিল মিরপুরের দিকে। মাঝপথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক ও মিরপুরের একাধিক হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। আর ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের লাশ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।