অনলাইন
নড়াইলে মানহানি মামলায় খালেদার জামিন নামঞ্জুর
নড়াইল প্রতিনিধি
১৭ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ২:৪৮ পূর্বাহ্ন
নড়াইলের আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত মানহানি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২রা জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার(আজ) আদেশের দিন ধার্য করেন। এদিকে গত ৫ই জুন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি হলেও ‘নট মেইনটেনবেল বা সমর্থনীয় নয়’ উল্লেখ করে আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া গত ১৬ই এপ্রিল নড়াইলে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হলে পরবর্তী দিন ৮ই মে শুনানির জন্য ধার্য করেন আদালত। এরপর ৮ই মে জামিন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর কোনোটাই হয়নি বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। পরবর্তীতে ২৮শে মে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি ‘নট প্রেসড রিজেকটেড’ (উপস্থাপিত) হয়নি) বলে খারিজ করে দেন। গত ২৮শে মে আদালত বলেন, মামলাটি ওই আদালতে (নিন্ম আদালত) শুনানি করে আসুন। এ প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ৩০শে মে নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে ৫ জুন শুনানির দিন ধার্য হয়। গত ৫ই জুনের শুনানিতে আদালত ‘নট মেইনটেনবেল বা সমর্থনীয় নয়’ উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪শে ডিসেম্বর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম (বর্তমানে জেলা পরিষদ সদস্য) বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের (২০১৫) ২১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়। মামলার বাদী নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মক ভাবে ক্ষুদ্ধ হন। পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।