অনলাইন

কোটা প্রসঙ্গে ড. শামীম রেজা

‘একটা যৌক্তিক সমাধান চাই’

স্টাফ রিপোর্টার

১৭ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ১:১৫ পূর্বাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম রেজা বলেছেন, কোটা নিয়ে যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন এর একটা যৌক্তিক সমাধান হোক। প্রজ্ঞাপন অপরিবর্তনীয় কোনো বিষয় নয়। এটা যদি আরো সংযোজন বিয়োজন করার সুযোগ থাকে তাহলে সরকার পক্ষ করবেন। শিক্ষার্থীদের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়, তরুণদের জন্যই সরকারি চাকরি। একদিন তারাই আমরা যে পর্যায়ে পৌঁছেছি সেখানে যাবেন। সরকারি আমলাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবেন। সুতরাং তাদের বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে দেখা উচিৎ। সোমবার দিবাগত রাতে চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘আজকের সংবাদপত্র’-এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন ড. শামীম রেজা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।
ড. শামীম রেজা বলেন, কোটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করতে পেরেছেন কিনা কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই উদ্যোগী হয়ে করতে পারতেন কিনা তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে অনেক। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের যে সুবিধাগুলো দিতে চাই কিংবা সুবিধাবঞ্চিতদের যেটা দিতে চাই, সেটা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। সামগ্রিকভাবে সরকার যেটা দাবি করছেন, যেটুকু ব্যবহৃত হয় না সেটা মেধার ভিত্তিতে পূরণ করবো। সেটা আরো স্পষ্ট করা হোক তাদের (শিক্ষার্থীদের) সামনে। তুলে ধরা হোক। এটা তো সেই আগের যুগ নেই যে, তথ্য তুলে ধরা যাবে না বা জানানো যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে ড. শামীম রেজা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো ভিন্নমত পোষণের জায়গা। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যাই তখন ভিন্নমত পোষণ করার জায়গাটি কমে যায়। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন তাদের স্মরণ রাখতে হবে যে বিশ্ববিদ্যালয় কোনো স্কুল নয়। এটি রাষ্ট্রের একটি আবশ্যক জায়গা। আমরা একজন শিক্ষার্থীকে শুধু চাকরির জন্য তৈরি করি না। সে একজন মানুষ হবে সে উদ্দেশ্যে তাদের শিক্ষাদান করি। সে যেখানেই চাকরি করবে সে একজন মানবিক আবেদন সম্পন্ন মানুষ হবে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা কোন ধর্মের, কোন দলের, কোন বর্ণের, কোন মতের, সেটা দেখবার বিষয় নয়। একটা মানুষের ব্যক্তিগত মত থাকতেই পারে। কিন্তু সেই বিশ্বাসের মানুষ আরেক বিশ্বাসের মানুষকে যদি উত্যক্ত করার চেষ্টা করতে থাকে তখন সেটা বিশ্ববিদ্যালয় থাকে না।

দুঃখের সঙ্গে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে অনেক কথা রয়েছে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর এত চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নেয়ার কথা নয়। এটা সামগ্রিক একটা বিষয়। সরকারের বিষয়। কর্তৃপক্ষ রয়েছে। কতখানি সহশীলতা তারা দেখাবেন। কিন্তু আপনি শিক্ষার্থী আরেক শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হবেন কিংবা এক শিক্ষক আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্লানিকর বক্তব্য দেবেন  সেটা সামাজিক মাধ্যমে হোক, গণমাধ্যমে হোক কিংবা যে পর্যায়ে হোক- এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। কারো জন্যই কল্যাণকর কিছু না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status