অনলাইন
১০ বাংলাদেশি লিবীয় উপকূলে জীবিত উদ্ধার
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৬ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
লিবিয়ার উপকূলে একটি লরি কন্টেইনার থেকে ১০ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। তাদের সবাইকে হিমশীতল কন্টেইনারে করে ইউরোপে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। কোস্টগার্ড সোমবার বাংলাদেশি ছাড়া আরও ৮০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করে। ত্রিপলীর এক কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছেÑ ওই কন্টেইনারে ৯৮জন ছিলেন। তাদের মধ্যে দম আটকে মারা গেছেন আটজন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকে জীবিত ৯০জনকে উদ্ধারের পর স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের বেশীরভাগই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের। সেখানে পাকিস্তানী নাগরিকও রয়েছে। ত্রিপোলিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সিলর এম মোজাম্মেল হক হক গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধার করা বাংলাদেশিদের ৭ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৩ জন ছাড়া পেয়েছেন। তবে কারও অবস্থাই গুরুতর বা আশঙ্কাজনক নয়। মোজাম্মেল বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে দূতাবাস কর্মকর্তারা ত্রিপোলির বাইরে যেতে পাররেন না। তবে উদ্ধারকারী কতৃপক্ষ স্থানীয় কোস্টগার্ডের সঙ্গে দূতাবাসের যোগাযোগ রয়েছে। উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিদের ত্রিপোলিতে আনার চেষ্টাও চলছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া অবৈধভাবে ইতালি সীমান্ত দিয়ে ইউরোপে ঢুকার চেষ্টায় প্রায়শই অভিবাসন প্রত্যাশীরা ধরা পড়েন স্থানীয় কোস্টগার্ডের হাতে। নৌকা বা ছোট ছোট জলযানেও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টায় থাকেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। সেখানে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে প্রায়ই। স্থল ও জল পথে কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেকে পাড়ি দিয়ে সক্ষম হন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত বছর ইতালি ও অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার শরণার্থী লিবিয়া হয়ে পাড়ি দিয়েছে। চলতি বছরের জুনের প্রথম দিকে তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রাণ গেছে প্রায় ১১২ শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীর। ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ার পশ্চিম উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রায় ৯০ জন নিহত হয়।