খেলা

এমন হারে গর্ব দেখছেন দালিচ

স্পোর্টস রিপোর্টার, মস্কো (রাশিয়া) থেকে

১৭ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

ম্যাচের শুরু থেকে ক্রোয়েশিয়া ছিল দুর্দান্ত। ভালো খেলার পুরস্কারের বিপরীতে উল্টো গোল হজম করে পিছিয়ে যায় ক্রোয়াটরা। আন্তোইনি গ্রিজম্যানের ফ্রি-কিক ক্লিয়ার করতে যাওয়া মারিও মানজুকিচের মাথা ছুঁয়ে বল নিজেদের জালেই জড়ায়। ম্যাচের রেফারিং নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় এখান থেকে। ওটা কোনোভাবেই ফাউল ছিল না বলে মনে করেন দালিচ। ভিএআর-এ নেয়া পেনাল্টি নিয়েও বিতর্ক আছে। স্বাভাবিকভাবেই সংবাদ সম্মেলনে ক্রোয়েশিয়ান কোচের সামনে প্রথম প্রশ্নই ছিল প্রশ্নিবিদ্ধ রেফারিং নিয়ে।

এমন সিদ্ধান্তের পর ভাগ্যকে দুষছেন এ কোচ, ‘পুরো প্রতিযোগিতায় ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল। এ ম্যাচে হয়তো ছিল না। আমার ছেলেরা চমৎকার ফুটবল খেলেছে। বিশেষকরে প্রথম গোল হজমের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। কিন্তু পেনাল্টির সিদ্ধান্ত সব এলোমেলো করে দিয়েছে।’ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাবে জ্লাতকো দালিচ বলেছেন, ‘দয়া করে রেফারিং নিয়ে আমাকে দিয়ে কিছু বলানোর চেষ্টা করবেন না। রেফারি হয়তো তার জায়গা সঠিক ছিল। আমি মনে করি, ভিডিও অ্যসিসট্যান্ট রেফারি ফুটবলের জন্য ভালো।’ চার গোল হজম করার পর কি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল? প্রশ্নের জবাবে ক্রোয়াট কোচ বলেছেন, ‘ভাগ্য পক্ষে থাকলে ফুটবলে সবই সম্ভব। আমরা নিজেদের মতো করে চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না বলে সাফল্য আসেনি।’

গোল্ডেন বল জেতা শিষ্য লুকা মদ্রিচ সম্পর্কে ক্রোয়েশিয়া কোচ বলেন, ‘গোটা আসরে লুকা দারুণ খেলেছে। রাশিয়ায় এটা প্রমাণিত হলো লুকা বড় আসরের বড় তারকা।’ বিশ্বকাপের ধকলে ক্লান্ত এ কোচ দেশে ফিরে গিয়ে বিশ্রাম নিতে চান। তার আগে দলের সদস্য এবং সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দেন জ্লাতকো দালিচ। স্বপ্ন-বাস্তবতার মাঝে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করতে পারায় দলের সবাইকে ধন্যবাদ দিলেন ৫১ বছর বয়সি কোচ, ‘গত দুই মাস ছিল আমার কোচিং ক্যারিয়ারের সেরা সময়। এ জন্য দলের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

ইভান পেরিসিচের গোলে ১০ মিনিট পর সমতায় আসে ক্রোয়েশিয়া। দুর্দান্ত এক ফাইনালের মঞ্চটা প্রস্তুত হওয়ার পর আরেকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন ৪৩ বছর বয়সি আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিতানা। বল ক্লিয়ার করতে লাফিয়ে ওঠা ইভান পেরেসিচের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি জোর দাবি জানায় ফ্রান্স। পিতানা কিছুটা সময় নিয়ে ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারির শরণাপন্ন হন। পরে সিদ্ধান্তটা ফ্রান্সের পক্ষে যায়। স্পট-কিক থেকে স্কোরলাইন ২-১ করেন গ্রিজম্যান।

এ সিদ্ধান্তের অনেকেই বলেছে ‘মানুষের হৃদয় জয়করা ক্রোয়েশিয়ার কাছ থেকে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিয়েছেন রেফারি পিতানা। এটা যদি পেনাল্টি হয়, প্রতি ম্যাচেই ১০-১২টি করে পেনাল্টি হবে।’ তার দাবি পেরিসিচ লাফিয়ে উঠেছিলেন। বলটা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে হাতে লাগাননি। দুটি সিদ্ধান্তের ঘটনা ম্যাচ পরবর্তী আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে, বিশেষ করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত। এ সম্পর্কে ক্রোয়েশিয়া কোচ বলেন, ‘আমি রেফারিং নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। এটুকু বলতে চাই, বিশ্বকাপ ফাইনালে এমন সিদ্ধান্ত আশাকরা যায় না।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status