শেষের পাতা
নিখোঁজ তারেকের সন্ধান চায় পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ‘নিখোঁজ’ নেতা তারেক রহমানের সন্ধান চান তার পরিবার। তারেকের বাবা-মায়ের অভিযোগ, গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে তারেককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আরজি জানান তারা। তারেকের মা শাহানা বেগম মানবজমিনকে বলেন, সম্প্রতি সাদা পোশাকে একদল লোক অনুসরণ করছিল তারেককে। শনিবার বিকালে তারেক বন্ধুদের বলেছে, কিছু লোক তার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে।
তাকে ফলো করছে। পরে ওইদিন রাত থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত শুক্রবার রাতে তারেকের সঙ্গে তার মায়ের শেষ কথা হয়। এসময় তারেক জানায় সে ভালো আছে। ব্যস্ত আছে। পরে কথা বলবে। এরপর আর ছেলের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। ছেলের খোঁজ না পেয়ে রোববার রাতে মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান তারা।
কিন্তু তারেকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাস্থল ওই থানাধীন না হওয়ায় পরে তারা রাত সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থানায় যান। থানা থেকে তাদের একদিন অপেক্ষা করতে বলে তারেকের নাম-ঠিকানা লিখে রাখা হয়। এবং সোমবার রাতে যেতে বলা হয়। তারেকের মা বলেন, আমার ছেলে তো কোনো অন্যায় করেনি। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তারেককে আমরা সুস্থভাবে ফেরত পেতে চাই। কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেকের বোন তানজিলা বলেন, দুই ভাইবোনের মধ্যে তারেক ছোট।
মা গৃহিণী, বাবা মো. আব্দুল লতিফ পেশায় ব্যবসায়ী। গ্রামে ছোট একটি মুদি দোকান আছে তার। তা দিয়ে চলে পরিবারের ভরণপোষণ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে ২০১৮ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে ঢাকায় বিসিএস-এর কোচিং করতে আসেন তারেক। ফার্মগেটে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তেন তিনি। শুরুতে মধ্য বাড্ডায় বোনের বাসায় থেকে কোচিং করছিলেন তারেক। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ তার খোঁজখবর নেয়ায় ঈদের পরে ওই বাসা ছেড়ে মেসে ওঠেন।
গত কয়েকদিন ধরে তারেক ভয়ে ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকতেন। শনিবার বিকাল ৪টায় তারেকের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয় বোন তানজিলার। তারেক কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কিনা জানতে চাইলে তারেকের বোন বলেন, আমার ভাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়।
তারেকের বাবা আবদুল লতিফ সাংবাদিকদের জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুর দিকে তারেককে একবার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন কোনো মামলা ছাড়াই ছেড়ে দেয়া হয় তাকে। তিনি বলেন, ও যখন কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন করছিল, পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা নিষেধ করেছিলাম। আমি বলেছি, তুমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না, তুমি ওই আন্দোলনে যেয়ো না। তখন তারেক বলে, এটা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নয়। চাকরির জন্য আন্দোলন করছি বাবা। তখন আমি বলি, তোমরা আন্দোলন করলে সরকার তা মেনে নিলে আমার কোনো আপত্তি নেই।
তাকে ফলো করছে। পরে ওইদিন রাত থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত শুক্রবার রাতে তারেকের সঙ্গে তার মায়ের শেষ কথা হয়। এসময় তারেক জানায় সে ভালো আছে। ব্যস্ত আছে। পরে কথা বলবে। এরপর আর ছেলের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। ছেলের খোঁজ না পেয়ে রোববার রাতে মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান তারা।
কিন্তু তারেকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাস্থল ওই থানাধীন না হওয়ায় পরে তারা রাত সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থানায় যান। থানা থেকে তাদের একদিন অপেক্ষা করতে বলে তারেকের নাম-ঠিকানা লিখে রাখা হয়। এবং সোমবার রাতে যেতে বলা হয়। তারেকের মা বলেন, আমার ছেলে তো কোনো অন্যায় করেনি। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তারেককে আমরা সুস্থভাবে ফেরত পেতে চাই। কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেকের বোন তানজিলা বলেন, দুই ভাইবোনের মধ্যে তারেক ছোট।
মা গৃহিণী, বাবা মো. আব্দুল লতিফ পেশায় ব্যবসায়ী। গ্রামে ছোট একটি মুদি দোকান আছে তার। তা দিয়ে চলে পরিবারের ভরণপোষণ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে ২০১৮ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে ঢাকায় বিসিএস-এর কোচিং করতে আসেন তারেক। ফার্মগেটে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তেন তিনি। শুরুতে মধ্য বাড্ডায় বোনের বাসায় থেকে কোচিং করছিলেন তারেক। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ তার খোঁজখবর নেয়ায় ঈদের পরে ওই বাসা ছেড়ে মেসে ওঠেন।
গত কয়েকদিন ধরে তারেক ভয়ে ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকতেন। শনিবার বিকাল ৪টায় তারেকের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয় বোন তানজিলার। তারেক কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কিনা জানতে চাইলে তারেকের বোন বলেন, আমার ভাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়।
তারেকের বাবা আবদুল লতিফ সাংবাদিকদের জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুর দিকে তারেককে একবার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন কোনো মামলা ছাড়াই ছেড়ে দেয়া হয় তাকে। তিনি বলেন, ও যখন কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন করছিল, পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা নিষেধ করেছিলাম। আমি বলেছি, তুমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না, তুমি ওই আন্দোলনে যেয়ো না। তখন তারেক বলে, এটা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নয়। চাকরির জন্য আন্দোলন করছি বাবা। তখন আমি বলি, তোমরা আন্দোলন করলে সরকার তা মেনে নিলে আমার কোনো আপত্তি নেই।