বাংলারজমিন
সন্দ্বীপের দস্যুদের অত্যাচারে দিশাহারা স্থানীয়রা
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১৭ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড উড়িরচরে সন্দ্বীপের দস্যুদের অত্যাচারে দিশেহারা স্থানীয় ভূমিহীনরা। দীর্ঘ ৬২ বছর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ চলেছে। ১৯৫৪ সালের সংশোধিত মানচিত্রে সন্দ্বীপের উড়িরচর সংলগ্ন চরবালুয়া, চরএলাহী, চরলেংটা ও চরযাত্রা মৌজা কোম্পানীগঞ্জের ৮নং চরএলাহী ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করা হয় কিন্তু সন্দ্বীপবাসী এর বিরোধিতা করে। তাদের দাবি, ওই চারটি মৌজা উড়িরচর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। এরপর থেকে চট্টগ্রাম- নোয়াখালী এ দুই জেলার মধ্যে সীমানা নিয়ে বিরোধের শুরু হলেও এখন তা সমাধানের পথে। আর এই সীমানা বিরোধকে কাজে লাগিয়ে সন্দ্বীপের স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কোম্পানীগঞ্জ অংশের ভূমিহীনদের উপর চালায় নির্যাতন। ভূমিহীনদের অভিযোগ, সন্দ্বীপের উড়িরচরের দুলাল মেম্বারের ছেলে নুরনবীর বাহিনী স্থানীয়দের ঘরপ্রতি ১০ হাজার করে চাঁদা আদায় করেন। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ভূমিহীনদের উপর নেমে আসে নির্যাতন। ভিকটিমরা জানায়, দুলাল মেম্বারের ছেলে নুরনবীর সঙ্গে রয়েছে র্যাবের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত জাসুর খালাতো ভাই আলমগীর, অস্ত্র ব্যাবসায়ী সাহেদ ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড সাদ্দাম। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে নোয়াখালীর মাইজদির এক ঠিকাদারের কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগসহ নারী ধর্ষণ ও হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে সন্দ্বীপ থানায়, কোম্পানীগঞ্জ থানায় ও নোয়াখালী ডিবি পুলিশের কাছে। এদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকার পরও অজ্ঞাত কারণে তারা রয়েছে পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। উড়িরচর ক্যাম্পের ইনচার্জ ইউনুস মোল্লার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মানবজমিনকে জানান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে, কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ওয়ারেন্ট থাকলে সেটা কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে এখনো আমাদের কাছে আসেনি, আসলে তাদের আটক করা হবে।