বাংলারজমিন
সতীনের প্রতিশোধ নিতেই মুন্নীকে হত্যা
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৭ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
আড়াইহাজারে হাজতে থাকা স্বামীকে জামিন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মুন্নী আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে অপহরণের পর হত্যা করে মেঘনায় ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের সতীন রেহেনা বেগমের স্বজনরা মিলে এ কাজ করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেপ্তার সফর আলী ও স্বর্না নামের অপহরণ মামলার দুই আসামি। গতকাল সফর আলী ও স্বর্নাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিক ইমাম’র আদালতে সফর আলী এবং মাহমুদুল মোহসীন’র আদালতে স্বর্না স্বীকারোক্তি দেয় বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক রফিউদৌলা জানান।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ব্রাহ্মন্দী শ্রীনগর গ্রামের অনোয়ার হোসেনের একই গ্রামের তাইজুদ্দিনের মেয়ে রেহেনা বেগমের সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় দেড় বছরের মাথায় স্ত্রী রেহেনা বেগম পাঁচ মাসের কন্যা সন্তান এবং স্বামীকে রেখে সৌদি আরব চলে যায়। পরে আনোয়ারের সঙ্গে সংসার করবে না বলে রেহেনা তাকে সাফ জানিয়ে উকিল নোটিশসহ তালাকের কাগজ পাঠায়।
আনোয়ার তিন মাস আগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আখধনা গ্রামের বায়েছ বেপাড়ীর মেয়ে মুন্নী বেগম (২২) নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। রেহেনা বিদেশ থেকে এসে আনোয়ারের সঙ্গে মুন্নীর বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। মুন্নীকে মেরে পথ পরিষ্কার করতে চায় রেহেনা ও তার পরিবার। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুযোগ খুঁজতে থাকে রেহেনার পরিবার।
এদিকে, আনোয়ারকে জামিন করাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নী বেগম। এ সুযোগে অনোয়ারের ভাগ্নি জামাতা একই গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে সফর আলী (৩৫) রেহেনার সঙ্গে যোগসাজশ করে অনোয়ারকে জামিন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কৌশলে মুন্নীকে একটি স্থানে দেখা করার কথা বলে। ৯ই জুন সকাল ১০টায় সফর আলীর কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় মুন্নী। এরপর আনোয়ারের পরিবার মুন্নী ও সফর আলীকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে তাদের সন্ধান পায়নি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটো বন্ধ পায়। এ ব্যাপারে মুন্নীর ননদ সহিতুন বেগম বাদী হয়ে আনোয়ারের প্রথম স্ত্রী রেহেনা বেগমকে ১নং আসামি করে আড়াইহাজার থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ব্রাহ্মন্দী শ্রীনগর গ্রামের অনোয়ার হোসেনের একই গ্রামের তাইজুদ্দিনের মেয়ে রেহেনা বেগমের সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় দেড় বছরের মাথায় স্ত্রী রেহেনা বেগম পাঁচ মাসের কন্যা সন্তান এবং স্বামীকে রেখে সৌদি আরব চলে যায়। পরে আনোয়ারের সঙ্গে সংসার করবে না বলে রেহেনা তাকে সাফ জানিয়ে উকিল নোটিশসহ তালাকের কাগজ পাঠায়।
আনোয়ার তিন মাস আগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আখধনা গ্রামের বায়েছ বেপাড়ীর মেয়ে মুন্নী বেগম (২২) নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। রেহেনা বিদেশ থেকে এসে আনোয়ারের সঙ্গে মুন্নীর বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। মুন্নীকে মেরে পথ পরিষ্কার করতে চায় রেহেনা ও তার পরিবার। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুযোগ খুঁজতে থাকে রেহেনার পরিবার।
এদিকে, আনোয়ারকে জামিন করাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নী বেগম। এ সুযোগে অনোয়ারের ভাগ্নি জামাতা একই গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে সফর আলী (৩৫) রেহেনার সঙ্গে যোগসাজশ করে অনোয়ারকে জামিন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কৌশলে মুন্নীকে একটি স্থানে দেখা করার কথা বলে। ৯ই জুন সকাল ১০টায় সফর আলীর কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় মুন্নী। এরপর আনোয়ারের পরিবার মুন্নী ও সফর আলীকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে তাদের সন্ধান পায়নি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটো বন্ধ পায়। এ ব্যাপারে মুন্নীর ননদ সহিতুন বেগম বাদী হয়ে আনোয়ারের প্রথম স্ত্রী রেহেনা বেগমকে ১নং আসামি করে আড়াইহাজার থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।