বিনোদন
আলাপন
‘একই ধরনের গান শুনতে শুনতে মানুষ বিরক্ত’
ফয়সাল রাব্বিকীন
১৬ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ৯:৫০ পূর্বাহ্ন
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মৌটুসী পার্থ দীর্ঘ সময় ধরে গানের জগতে বিচরণ করছেন। তার গাওয়া গানগুলো শ্রোতারা পছন্দও করছেন। এর বাইরে স্টেজ শোতেও অন্যরকম গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে মৌটুসীর। দেশ-বিদেশের স্টেজ শো নিয়ে নিয়মিত দারুণ ব্যস্ত এ শিল্পী। কেমন আছেন? মৌটুসী পার্থ বলেন, ভালো আছি। গান নিয়ে থাকলে আসলে সময় ভালো কেটে যায়। এখন কি শো-এর ব্যস্ততা রয়েছে? মৌটুসী বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। শো-এর আয়োজনটা তুলনামূলক কম হচ্ছে। তারপরও শো করছি। বিশেষ করে বড় শো গুলোতে অংশ নিচ্ছি। নতুন গান কি করছেন? মৌটুসী বলেন, নতুন একটি গান অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে আছে। কিন্তু তাতে কন্ঠ দেয়া হয়নি। গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছে আরফিন রুমি। তবে রুমি এখন গান করা বন্ধ রেখেছে। জেনেছি সে আবার শিগগিরই গানে ফিরবে। তখন হয়তো গানটিতে কন্ঠ দেয়া হবে। এর বাইরে আরও কয়েকটি নতুন গান করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমান ব্যস্ততা মূলত কি নিয়ে? মৌটুসী উত্তরে বলেন, ব্যস্ততা অবশ্যই গান নিয়ে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের রেকর্ডিংয়ে অংশ নিলাম। পাশাপাশি সিলেক্টিভ কয়েকটি শো করেছি। এইতো এভাবেই চলে যাচ্ছে সময়। চলতি সময়ে গানের অবস্থাটা কেমন মনে হচ্ছে? মৌটুসী বলেন, আসলে যুগ বদলেছে। মাধ্যম বদলেছে। অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। তবে ফলাফল কিন্তু একই রকম মনে হচ্ছে। আমাদের বাজার ছোট। সীমাবদ্ধতা হচ্ছে বাংলা ভাষা। কারণ বাংলা ভাষার শ্রোতা ইংরেজী কিংবা হিন্দীর চাইতে কম। এই সময়ে অবস্থা আরও খারাপ বলে মনে হয় আমার কাছে। কারণ আমি নিজেই দেখছি মানুষ এখন বাংলাদেশের কিংবা কলকাতার বাংলা গানও শুনছে না। শুনছে বেশি হিন্দী গান। হাবিব যখন গান শুরু করলো তখন একটা জোয়ার শুরু হয়েছিলো বাংলা গানের। তখন হিন্দী গানের প্রভাবটা কমে গিযেছিলো। কিন্তু এখন আবার হিন্দী গান প্রভাব বিস্তার করছে। এটা একটা অশনি সংকেত। মৌটুসী আরও বলেন, আসলে একই ধরনের গান শুনতে শুনতে মানুষ বিরক্ত। হাবিব একটা নতুন ট্রেন্ড নিয়ে এসেছিলো। এটা তার কৃতিত্ব। তারপর দেখা গেলো যারাই গান করছে সবাই হাবিবকেই অনুসরণ করছে। ভাঙা গড়ার কোন খেলা নেই। এই একঘেয়েমি থেকে বের হতে হবে। আপনার কোনো পরামর্শ রয়েছে? মৌটুসী বলেন, আমি পরামর্শ দেয়ার মতো কেউ নই। এখনও শিখছি আমি। তারপরও বলবো, ভালোবাসার সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা, পরিশ্রম, ধৈর্য্য থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব। এ বিষয়গুলো গানের ক্ষেত্রে আরও বেশি দরকার। আর শেখার মানসিকতাও থাকতে হবে। গানের ক্ষেত্রেতো সারাজীবন শেখা যায়। যে যত বেশি শিখবে সে তত বেশি সমৃদ্ধ হবে। এর বিকল্প নেই।