বাংলারজমিন

পরশুরামে শুকায়নি বন্যার ক্ষত

পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি

১৬ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

পরশুরামে ৩ দফার বন্যার ক্ষত এখনো শুকায়নি। কৃষি, মৎস্য, প্রাণী সম্পদের ক্ষতি ছাড়াও মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ১১ স্থানের ভাঙন ও তছনছ হয়ে গেছে অন্তত ২০টি সড়ক। বন্যায় প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরশুরাম-ফুলগাজীর মানুষের দাবি, ঠুনকো বাঁধ নয়, স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ ও নদী ড্রেজিং করা দরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১২ই জুন থেকে শুরু হওয়া পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ১১ স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়। ৩ দফার বন্যায় প্লাবিত হয় অন্তত ২০টি গ্রাম। শত শত মানুষের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায় বন্যার পানিতে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এখনো ফিরতে পারেনি আপন নীড়ে। বন্যার পানির তোড়ে ভেঙ্গে নিয়ে গেছে ২০টি সড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার। ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ এখনো মেরামত শুরু হয়নি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মনির হায়দার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে প্রায় ২ কোটি টাকা প্রয়োজন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পাওয়া গেছে এসব সড়ক সংস্কারের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। পরশুরামে বন্যায় আউশ ও গ্রীষ্ম মরিচ উৎপাদিত ২২ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৩শ’ কৃষক সহায় সম্বল হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষি বিভাগের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকার অধিক। উপজেলা কৃষি অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকরা। মৎস্য বিভাগের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। ২৩১ জন চাষির ৩৩৫টি পুকুর, দীঘি ও খামারের প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাণী সম্পদ বিভাগও। বন্যায় তলিয়ে গেছে ১৫টি পোলট্রি মুরগির খামার। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. মুহাম্মদ ইসমাইল জানান, মির্জানগর ও চিথলিয়া ইউনিয়নে বেশ কিছু পোলট্রি খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চিথলিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর, রতনপুর ও মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাউতলী গ্রাম। এসব গ্রামে বেড়িবাঁধ, সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘর হারিয়ে অনেককে বেড়িবাঁধ ও রাস্তায় থাকতে দেখা গেছে। মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টু জানান, প্রতি বছরই বন্যার পরশুরামের নদীগুলোর বেড়িবাঁধ ভাঙে।
এর স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না।
স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করলেই বন্যা থেকে মুক্তি পাবে মানুষ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status