বাংলারজমিন
নারায়ণগঞ্জে ঘাতক পিন্টু ফের রিমান্ডে
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৬ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাহজারের আলোচিত স্বর্ণা ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যার মূল আসামি পিন্টু দেবনাথের কর্মচারী বাপন ভৌমিককে ফের ২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছেন ডিবি। রোববার মামলার তদন্তকারী সংস্থা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের রিমান্ডের শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরআগে গত মঙ্গলবার পিন্টুর সঙ্গে পুলিশ বাপনকেও ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়। ঘাতক পিন্টু বিষয়ে আরো তথ্য উদঘাটনের জন্য দ্বিতীয় দফায় তাকে রিমান্ডে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এস আই মফিজুল ইসলাম পিপিএম। এদিকে প্রবীরকে হত্যার কথা স্বীকার করে শনিবার রাতে আদালতে ১৬৪ ধারায় দীর্ঘ জবানবন্দি দিয়েছে পিন্টু দেবনাথ।
প্রবীরকে হত্যার পর ঘটনাটি অপহরণ সাজানোর জন্য পিন্টু তার কর্মচারী বাপন ভৌমিককে দিয়ে কুমিল্লা থেকে এক কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় প্রবীরের পরিবারের কাছে এবং নিজে আন্দোলনে সোচ্চার থাকে।
বাপন পুলিশকে জানিয়েছে, সে প্রবীর হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানতো না। পিন্টু প্রবীরের মোবাইলটি তাকে দিয়ে বলে প্রবীর ভারতে গিয়েছে। মোবাইলের ঝামেলাটা আমি রাখতে চাই না। এটা তুই ব্যবহার কর। তখন বাপন তার সিম প্রবীরের মোবাইলে ভরে ব্যবহার করতে গিয়ে মোবাইল ট্যাকিংয়ে ধরা পড়ে ডিবির কাছে। বাপনের তথ্যমতে পিন্টুকে আটক করে ডিবি। পরে পিন্টু দেয়া তথ্যমতে, ৯ই জুলাই রাত ১১টায় শহরের আমলপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার চারতলা ভবনের নিচতলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের ৫ টুকরো লাশ ও ১০ই জুলাই রাতে একই এলাকার একটি ড্রেন থেকে পা দুটি উদ্ধার করে ডিবি। ওদিকে প্রবীরকে পিন্টু একা খুন করেছে এবং নিজেই লাশ ৭ টুকরো করে ব্যাগের ভরে সেফটেক ট্যাংকিতে ফেলে দিয়েছে, এটা বিশ্বাস করতে কস্ট হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর। কারণ পিন্টু বাইপাস রোগী। তার হার্টে সমস্যা। সে এককভাবে এমন একটি ভয়ঙ্কয় কাজ করতে পারে না। পুলিশ কিছু আড়াল করছে নাকি পিন্টু কাউকে বাঁচতে চাইছে। এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে তদন্ত সংস্থার বলছে, পিন্টু ও প্রবীরের মধ্যে ফাটল এবং প্রবীরকে পিন্টুর কাছে বিষিয়ে তোলার পেছনে তৃতীয় একটি পক্ষ কাজ করেছে। ওই পক্ষটি পিন্টুর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকাও নিয়েছে বলে পিন্টু তাদের জানিয়েছে।
প্রবীরকে হত্যার পর ঘটনাটি অপহরণ সাজানোর জন্য পিন্টু তার কর্মচারী বাপন ভৌমিককে দিয়ে কুমিল্লা থেকে এক কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় প্রবীরের পরিবারের কাছে এবং নিজে আন্দোলনে সোচ্চার থাকে।
বাপন পুলিশকে জানিয়েছে, সে প্রবীর হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানতো না। পিন্টু প্রবীরের মোবাইলটি তাকে দিয়ে বলে প্রবীর ভারতে গিয়েছে। মোবাইলের ঝামেলাটা আমি রাখতে চাই না। এটা তুই ব্যবহার কর। তখন বাপন তার সিম প্রবীরের মোবাইলে ভরে ব্যবহার করতে গিয়ে মোবাইল ট্যাকিংয়ে ধরা পড়ে ডিবির কাছে। বাপনের তথ্যমতে পিন্টুকে আটক করে ডিবি। পরে পিন্টু দেয়া তথ্যমতে, ৯ই জুলাই রাত ১১টায় শহরের আমলপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার চারতলা ভবনের নিচতলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের ৫ টুকরো লাশ ও ১০ই জুলাই রাতে একই এলাকার একটি ড্রেন থেকে পা দুটি উদ্ধার করে ডিবি। ওদিকে প্রবীরকে পিন্টু একা খুন করেছে এবং নিজেই লাশ ৭ টুকরো করে ব্যাগের ভরে সেফটেক ট্যাংকিতে ফেলে দিয়েছে, এটা বিশ্বাস করতে কস্ট হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর। কারণ পিন্টু বাইপাস রোগী। তার হার্টে সমস্যা। সে এককভাবে এমন একটি ভয়ঙ্কয় কাজ করতে পারে না। পুলিশ কিছু আড়াল করছে নাকি পিন্টু কাউকে বাঁচতে চাইছে। এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে তদন্ত সংস্থার বলছে, পিন্টু ও প্রবীরের মধ্যে ফাটল এবং প্রবীরকে পিন্টুর কাছে বিষিয়ে তোলার পেছনে তৃতীয় একটি পক্ষ কাজ করেছে। ওই পক্ষটি পিন্টুর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকাও নিয়েছে বলে পিন্টু তাদের জানিয়েছে।