বাংলারজমিন
বিয়ানীবাজারে নবজাতকের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ
বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বশীলদের অবহেলা ও খামখেয়ালিপনায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। জন্মের সময় ওই নবজাতকের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। তবে দায়িত্বশীল ডাক্তারের মতে, এটি ‘ওমপাওলোসি’ নামের এক ধরনের রোগ। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, জকিগঞ্জ এলাকার নজির আহমদ তার প্রসূতি স্ত্রী মমতা বেগমকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার প্রসব ব্যথা শুরু হলে কর্তব্যরত সেবিকা ফাদিয়া বেগম অন্যদের সহযোগিতায় প্রসূতিকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে অনেকক্ষণ চেষ্টার পর রাত সোয়া ৮টার দিকে নবজাতকের জন্ম হয়। এ সময় নবজাতকের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে রয়েছে দেখে ডেলিভারি সংশ্লিষ্ট সবাই আঁৎকে ওঠেন। শিশুর এ অবস্থা দেখে প্রসূতির অবস্থা আরো সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। ওই নবজাতকের পিতা নজির আহমদ বলেন, শিশুটি সুস্থ ছিল। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সেটি পাওয়া গেছে। কিন্তু অদক্ষ সেবিকা ও আয়া আমার বাচ্চাটি হত্যা করেছে। প্রসূতি মমতা বেগম বলেন, ‘জন্মের পূর্ব পর্যন্ত আমি বাচ্চার নড়াচড়া পেয়েছি। বিষয়টি নার্সকে বলেছিও। কিন্তু তারা আমার পেটে দীর্ঘ সময় চাপ দিয়ে, পেটের ওপর হাতের আঙুল দিয়ে খুচিয়ে বাচ্চা বের করার চেষ্টা করেন। আধাঘণ্টা চেষ্টার পর বাচ্চা বের করে আমার পেটের ওপর রেখে নার্স বলেন, ‘বাচ্চাটি নড়াচড়া করছে কিন্তু তার নাড়িভুঁড়ি সব বেরিয়ে আসলো।’ এরপর তারা লেবার রুম থেকে বাচ্চা নিয়ে বেরিয়ে যান।’ হাসপাতালের চিকিৎসক (এমও) শাহরিয়ার হোসেন বলেন, এরকম ‘ওমপাওলোসিতে’ আক্রান্ত নবজাতক মৃতই জন্ম নেয়। এটির চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। এ রকম নবজাতক প্রতি ৪ হাজারে একজনের জন্ম হয়।