এক্সক্লুসিভ

দুই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

বাংলারজমিন ডেস্ক

১৬ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে দুই জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছে। এছাড়া বগুড়ায় আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সাতক্ষীরায় ২ জন ও ময়মনসিংহের ভালুকায় একজন রয়েছে। নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের কয়ারবিল ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য। এ সময় আহত হয়েছেন ৫ পুলিশ সদস্য।

নিহত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)। তারা দুজনেই আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই রিয়াদুল, এএসআই সুমন, এএসআই মাজেদুল ও দুই কনস্টেবল রুবায়েত ও তুহিন। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শনিবার বিকালে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহা বাজার থেকে আটক করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করে যে আজ রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। তাদের নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ। তিনি জানান, বাঁশদহার কয়ার বিল এলাকায় পৌঁছাতেই আগে থেকে ওত পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তিনি আরো জানান, গোলাগুলির একপর্যায়ে তাদের দুজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাদের কাছ থেকে এ সময় একটি ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এদিকে, আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ভালুকায় গতকাল ভোর রাতে উথুরা ইউনিয়নের হাইজ্যাকের মোড় নামকস্থানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মেদুয়ারী ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাকাত সর্দার মুরাদ নিহত হয়েছে। এ সময় ভালুকা মডেল থানার এসআই মনির ও এএসআই ইউসুফ আহত হয়।

উথুরা ইউনিয়নের হাইজ্যাকের মোড় এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকা মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বিপিএম (বার) পিপিএম’র নেতৃত্বে থানা পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের গোলাগুলির মাঝে উপজেলার বগাজান গ্রামের শাহ্‌জাহান আকন্দের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী, ডাকাত সর্দার মুরাদ আকন্দকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে। পরে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ তালুকদার জানান, মুরাদ আকন্দ একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী, ডাকাত সর্দার তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ওয়ারেন্টসহ ৫টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র ১টি রামদা, ১টি চাপাতি ১টি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মুরাদ মেদুয়ারী ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তার মৃত্যুতে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বগুড়া প্রতনিধি জানান, পুলিশের গুলিতে এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে বগুড়ার কাহালু উপজেলার কালাই খামারপাড়া পাকা রাস্তা এলাকায় এঘটনা ঘটে। মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের সদস্যরা একত্রিত হয়ে গভীর রাতে টহলরত পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

পুলিশের পাল্টা জবাবে মাদক ব্যবসায়ী বকুল সরদার (৩৬) গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে উপজেলার কালাই ঘুনপাড়ার বুলু সরদারের ছেলে। মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন কাহালু থানার মোস্তফা এবং মতিন নামের দুই পুলিশ কনস্টেবল।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status