অনলাইন
ঢাবির মালিকানা কাদের?
সাজেদুল হক
১৫ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
দু’টি খবর। বিস্মিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা ক্রমশ হারিয়ে ফেলছি আমরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর এলাকা দিয়ে দু’জন ছাত্র-ছাত্রী যাচ্ছিলেন। হয়তো তারা হাত ধরে ছিল। তারা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী। এই অপরাধ ছাত্রলীগের ছেলেরা সহ্য করেনি। তারা ছেলে-মেয়ে দু’জনকে বেধড়ক মারধর করেছে। ঘটনার তদন্তে কমিটি হয়েছে। এটাই বরং বিস্ময়কর। পরে কী হবে তা অনুমান করতে না পারলে আপনার জন্য দুঃখিত হওয়া ছাড়া কিছু করার নেই। আহত ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে আমাদের কেন মারা হলো, শুধু সেটুকু জানতে চাই। আমরা দুজনই তৃতীয় বর্ষের। বিনা কারণে প্রথম বর্ষের ছাত্ররা আমাদের মারলো। আমাদের ক্যাম্পাসে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?
নিরাপত্তা কোথায় এ প্রশ্নের উত্তর পেতে বেশি অপেক্ষার দরকার হয়নি। আজই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এতবড় দুঃসাহস! সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে ছাত্রলীগ। শিক্ষকদের রীতিমতো নাজেহাল করা হয়েছে। মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ছাত্রীরাও। গত কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবেই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। তাদের লাথি-লাঠি আর হাতুড়ি পেটার শিকার হচ্ছেন সংস্কার আন্দোলনকারীরা। না, এই জন্য ক্ষমতাসীনদের কেউ ছাত্রলীগের সমালোচনা করেনি। তাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো মামলা হয়নি। কোনো ভিসি তাদের সমালোচনাও করেননি। কেন করবেন? তারা তো সত্যানুসন্ধানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
একটি পুরনো প্রবাদ। যদি তুমি কাউকে হত্যা করতে চাও, তবে আগে তার একটা খারাপ নাম দাও। কোটা আন্দোলনকারীদের শায়েস্তা করতেও অনুসরণ করা হচ্ছে সে পুরনো রীতি। প্রথমে বলা হলো শিবির, তারপর আল-শাবাব, আল-কায়েদা। এখন যত পারো মারো, রিমান্ডে নাও, জেলে পুরাও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিহাসের বহু গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচিত হয়েছে এখানে। এ বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে গত কিছুদিনে যেসব তেলেসমাতি কা- ঘটে যাচ্ছে তাতে উদয় হচ্ছে নানা প্রশ্ন। সবচেয়ে বড় জিজ্ঞাসা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা কাদের? কোনো বিশেষ ছাত্র সংগঠনের। কোথায় ভর করে সময় পার করে দিতে চাচ্ছেন ভিসি প্রফেসর আখতারুজ্জামান। ইতিহাসের চাকা ঘুরছে।
নিরাপত্তা কোথায় এ প্রশ্নের উত্তর পেতে বেশি অপেক্ষার দরকার হয়নি। আজই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এতবড় দুঃসাহস! সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে ছাত্রলীগ। শিক্ষকদের রীতিমতো নাজেহাল করা হয়েছে। মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ছাত্রীরাও। গত কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবেই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। তাদের লাথি-লাঠি আর হাতুড়ি পেটার শিকার হচ্ছেন সংস্কার আন্দোলনকারীরা। না, এই জন্য ক্ষমতাসীনদের কেউ ছাত্রলীগের সমালোচনা করেনি। তাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো মামলা হয়নি। কোনো ভিসি তাদের সমালোচনাও করেননি। কেন করবেন? তারা তো সত্যানুসন্ধানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
একটি পুরনো প্রবাদ। যদি তুমি কাউকে হত্যা করতে চাও, তবে আগে তার একটা খারাপ নাম দাও। কোটা আন্দোলনকারীদের শায়েস্তা করতেও অনুসরণ করা হচ্ছে সে পুরনো রীতি। প্রথমে বলা হলো শিবির, তারপর আল-শাবাব, আল-কায়েদা। এখন যত পারো মারো, রিমান্ডে নাও, জেলে পুরাও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিহাসের বহু গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচিত হয়েছে এখানে। এ বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে গত কিছুদিনে যেসব তেলেসমাতি কা- ঘটে যাচ্ছে তাতে উদয় হচ্ছে নানা প্রশ্ন। সবচেয়ে বড় জিজ্ঞাসা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা কাদের? কোনো বিশেষ ছাত্র সংগঠনের। কোথায় ভর করে সময় পার করে দিতে চাচ্ছেন ভিসি প্রফেসর আখতারুজ্জামান। ইতিহাসের চাকা ঘুরছে।