খেলা

পরিসংখ্যানে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া দ্বৈরথ

স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

বিশ্বকাপ ফাইনালের মাহরণে আজ মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের পাঁচ দেখায় একবারও ফরাসিদের হারাতে পারেনি তারা। বিশ্বকাপের ফাইনালেই প্রথমবারেরমতো ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে সাফল্য ধরে রেখে দ্বিতীয়বারেরমতো বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলার স্বপ্ন ফ্রান্সের। বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে দুই দলের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো:
১. তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে ইতালির কাছে ফাইনালে হারে ফরাসিরা।
২. অন্যদিকে প্রথমবারের মতো বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে পা রাখলো ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৩ সালে স্বধীন হওয়ার পর ছয়টি বিশ্বকাপের পাঁচটিতেই অংশ নেয় ক্রোয়াটরা। ১৯৯৮’র বিশ্বকাপে নিজেদের অভিষেকেই সেমিফাইনাল খেলেছিলো তারা। ঐ আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে সেমিফাইনালে হার দেখে তারা। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারায় ক্রোয়েশিয়া।
৩. এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের তিনটি নকআউট ম্যাচেই অতিরিক্ত সময় খেলছে ক্রোয়েশিয়া। শেষ ষোলোয় ডেনমার্ক ও কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে জয় আসে টাইব্রেকারে। আর সেমিফাইনালে মারিও মানজুকিচের অতিরিক্ত সময়ের গোলে ইংলিশদের হারায় ক্রোয়েশিয়া।
৪. নকআউট পর্বের তিন ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে পুরো ৯০ মিনিট কম খেলেছে ফরাসিরা। দুই ম্যাচের অতিরিক্ত সময় বাদেই ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের তিন ম্যাচে মাঠে থাকতে হয়েছে ৩৬০ মিনিট। বিপরীতে ফাইনালে পৌঁছাতে তিনটি নকআউট ম্যাচে ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা মাঠে ছিলেন ২৭০ মিনিট।
৫. দুই জয় ও এক ড্রয়ে ‘সি’ গ্রুপের সেরা হয়ে নকআউট পর্বে পা রাখে ফ্রান্স। শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনাকে হারানোর পর কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে পেরোয় উরুগুয়ে ও বেলজিয়াম বাধা। প্রতিটি ম্যাচই শেষ হয়েছে ৯০ মিনিটে।
৬. নকআউট পর্বের তিন ম্যাচে সাত গোল করেছে ফ্রান্স। আর গ্রুপ পর্বে তারা গোল করেছে মাত্র ৩টি।
৭. দুই বছরের মধ্যে এ নিয়ে দু’টি বড় আসরের ফাইনালে উঠলো ফ্রান্স। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে উঠেছিল কোচ দিদিয়ের দেশমের দল। সেবার পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ফরাসিদের।
৮. চলতি বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে দু’টি করে গোল করেন মিডফিল্ডার লুকা মদরিচ, ফরোয়ার্ড মারিও মানজুকিচ ও ইভান পেরিসিচ। আর প্রতি ম্যাচ গড়ে দু’টি করে গোল করেছে ক্রোয়েশিয়া। এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১২ বার বল জড়িয়েছে তারা। বিপরীতে হজম করেছে পাঁচ গোল।
৯. এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সের হয়ে তিনটি করে গোল করেন ফরোয়ার্ড আন্তোইন গ্রিজম্যান ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে দশ গোল দেয়ার পাশপাশি ফ্রান্স হজম করেছে চার গোল।
১০. সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দুই দলের দেখা হয়েছে পাঁচবার। এর মধ্যে একবারও ফ্রান্সকে হারাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। ফরাসিদের তিন জয়ের সঙ্গে দুই ম্যাচ ড্র হয়।
রোড টু ফাইনাল
ফ্রান্স
গ্রুপ পর্ব
ফ্রান্স ২-১ অস্ট্রেলিয়া
ফ্রান্স ১-০ পেরু
ফ্রান্স ০-০ ডেনমার্ক
শেষ ষোলো রাউন্ড
ফ্রান্স ৪-৩ আর্জেন্টিনা
কোয়ার্টার ফাইনাল
ফ্রান্স ২-০ উরুগুয়ে
সেমিফাইনাল
ফ্রান্স ১-০ বেলজিয়াম
ক্রোয়েশিয়া
গ্রুপ পর্ব
ক্রোয়েশিয়া ২-০ নাইজেরিয়া
ক্রোয়েশিয়া ৩-০ আর্জেন্টিনা
ক্রোয়েশিয়া ২-১ আইসল্যান্ড
শেষ ষোলো রাউন্ড
ক্রোয়েশিয়া ১-১ ডেনমার্ক
৩-২ (টাইব্রেকার)
কোয়ার্টার ফাইনাল
ক্রোয়েশিয়া ২-২ রাশিয়া
৪-৩ (টাইব্রেকার)
সেমিফাইনাল
ক্রোয়েশিয়া ২-১ ইংল্যান্ড (১২০ মিনিট)
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status