দেশ বিদেশ
আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ঘাটতি নেই: কাদের
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছেদ হয় এমন কাজ থেকে সকলের বিরত থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর বনানীস্থ সেতুভবনে বাংলাদেশের নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাটের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর কাদের সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তুলে ধরে আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এক্ষেত্রে কোনো বিতর্কে আমি যেতে চাই না। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সুদৃঢ়। রোহিঙ্গা সঙ্কটে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মানবিকতার দরজা খুলে দিয়েছিলেন তখন থেকেই ওয়াশিংটন আমাদের পাশে রয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশ সংকটে পড়েছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই মানবিক ভূমিকা পালন করছে। আমরা পরিবেশগত-অর্থনৈতিক বিভিন্নভাবে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। এগুলো মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আমাদের শক্তি ও প্রেরণা যোগাচ্ছে। বন্ধু দেশ হিসেবে তাদের এ সমস্ত উদ্যোগ আমরা ডিপলি অ্যাপরিশিয়েট করি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখনও যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভূমিকায় অটল আছে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও আমাদের সম্পর্ক শক্তিশালী হচ্ছে। কাজেই আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কে আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিয়ে যে কথা বলেছি যেন আমাদের দু’দেশের জনগণের মধ্যে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া না হয়। বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো ধরনের ফাটল না ধরে। আমি ডিপ্লোমেটিক ওয়েতেই কথাগুলো বলেছি। এখানে আমেরিকাকে অ্যাটাক করে বা ওয়াশিংটনকে অ্যাটাক করে বা ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূতের ভূমিকাকে কোনো প্রকার সমালোচনা আমি করতে যাইনি। আমি বলেছি দু’দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্কটা কিংবা বন্ধুত্বের সম্পর্কে ছেদ হয় এসব কিছু থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন বা কোটা সমস্যা সমাধানে সরকার এখন পর্যন্ত রাইট ট্র্যাকে আছে। আমার মনে হয় বিষয়টা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য একটা কমিটি গঠন হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটি খোঁজ-খবর নিচ্ছে। অন্যান্য দেশেরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। আমার মনে হয় বিষয়টা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা আছেন আমি তাদের অনুরোধ করবো ধৈর্য ধরার জন্য। প্রধানমন্ত্রী যে স্টেপ নিয়েছেন সে পদক্ষেপের প্রতি আস্থা রেখে আরেকটু ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করবো। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর যেটা বক্তব্য, ভাইস চ্যান্সেলরের বাড়িতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, যে নারকীয় তাণ্ডব, তার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকেই কেবল তারা খুঁজে খুঁজে গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ হবে লাশের পাহাড়
বিএনপি জোট যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে ১ দিনেই দেশে রক্তের নদী বয়ে যাবে, দেশ হবে ভয়ঙ্কর লাশের পাহাড়। যদি তারা আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশে ২০০১ সালের থেকেও ভয়াবহ অবস্থা হবে এবং সাধারণ জনগণকে আবার বাড়ি ছাড়া করবে। গতকাল গুলিস্তান নাট্যমঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি এদেশে পুনরায় ক্ষমতায় আসে তবে দেশকে নিয়ে যাবে পকিস্তানের ধারায়। বয়ে যাবে রক্তের নদী, দেশ হবে ভয়ঙ্কর লাশের পাহাড়। জনগণকে ছাড়তে হবে আবার তাদের বাড়িঘর। দেশ হবে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের লীলাভূমি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি’র লোকেরা মহিলাদের ধর্ষণ করেছিল। পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মেরে ফেলেছিল। বাবা মারা গেছে ছেলে গ্রামে গিয়ে বাবার জানাযা পড়তে পারেনি, তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল। সেই ইতিহাস কি আপনারা ভুলে গেছেন? বিএনপি ক্ষমতায় এসে গ্রামে গ্রামে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলো। কাদের বলেন, দেশে আর ২০০১ সালের মতো নীল-নকশা মার্কা নির্বাচনের স্বপ্ন সফল হবে না। ২০০১ সালের মতো যেন নির্বাচন না হতে পারে, ২০১৩-১৪ সালের মতো যেন আগুন সন্ত্রাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না হয় সেজন্য সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আবারও শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে জয়ী করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে বলেন, সামপ্রদায়িক অশুভ শক্তির বিষবৃক্ষ উৎপাটন করতে হলে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হতে হবে। শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে জয়ী করতে হবে।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ হবে লাশের পাহাড়
বিএনপি জোট যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে ১ দিনেই দেশে রক্তের নদী বয়ে যাবে, দেশ হবে ভয়ঙ্কর লাশের পাহাড়। যদি তারা আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশে ২০০১ সালের থেকেও ভয়াবহ অবস্থা হবে এবং সাধারণ জনগণকে আবার বাড়ি ছাড়া করবে। গতকাল গুলিস্তান নাট্যমঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি এদেশে পুনরায় ক্ষমতায় আসে তবে দেশকে নিয়ে যাবে পকিস্তানের ধারায়। বয়ে যাবে রক্তের নদী, দেশ হবে ভয়ঙ্কর লাশের পাহাড়। জনগণকে ছাড়তে হবে আবার তাদের বাড়িঘর। দেশ হবে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের লীলাভূমি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি’র লোকেরা মহিলাদের ধর্ষণ করেছিল। পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মেরে ফেলেছিল। বাবা মারা গেছে ছেলে গ্রামে গিয়ে বাবার জানাযা পড়তে পারেনি, তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল। সেই ইতিহাস কি আপনারা ভুলে গেছেন? বিএনপি ক্ষমতায় এসে গ্রামে গ্রামে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলো। কাদের বলেন, দেশে আর ২০০১ সালের মতো নীল-নকশা মার্কা নির্বাচনের স্বপ্ন সফল হবে না। ২০০১ সালের মতো যেন নির্বাচন না হতে পারে, ২০১৩-১৪ সালের মতো যেন আগুন সন্ত্রাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না হয় সেজন্য সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আবারও শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে জয়ী করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে বলেন, সামপ্রদায়িক অশুভ শক্তির বিষবৃক্ষ উৎপাটন করতে হলে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হতে হবে। শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে জয়ী করতে হবে।