বিশ্বজমিন
অক্সফোর্ড ছেড়ে অনলাইনে আয়ের পথে আইন পড়ুয়া বেভারলি
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
তিনি বছরে ৯৬০০ পাউন্ড বেতনের নার্সারিতে পড়েছেন। মোটামুটি চারটি সরকারি স্কুলেও পড়াশোনা করেছেন। তারপর পড়ার সুযোগ পেয়েছেন অক্সফোর্ডে। সেখানে তিনি আইন শাস্ত্রে পড়াশোনা করছিলেন। কিন্তু তার মাথায় অন্য এক ভুত এসে চেপে বসেছে। তাই ২১ বছর বয়সী গ্রেসি বেভারলি তারকা খ্যাতি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বাদ দিয়েছেন অক্সফোর্ডের মতো প্রতিষ্ঠানে পড়া। তিনি মেতে উঠেছেন ইন্সটাগ্রাম নিয়ে। কারণ সেখানে তাকে তারকাখ্যাতি পেতেই হবে। ইন্সটাগ্রামে তার নাম গ্রেসি ফিট ইউকে। এরই মধ্যে তার অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। ইন্সটাগ্রামে তিনি ব্যায়ামের বিভিন্ন টিপস দেন। এ সময় তার শরীর ঢাকা থাকে টাইট স্পোর্টস পোশাকে। সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করে নিজের ফিটনেস বিষয়ক পণ্য বিক্রি করেন। স্পন্সরড ভিডিওর সঙ্গে অন্য ব্রান্ডের পণ্যও তিনি এন্ডোর্স করেন। পশ্চিম লন্ডনের সেইন্ট পলস গার্লস স্কুল থেকে একটি বিষয়ে এ-স্টার, দুটিতে এ এবং একটিতে বি গ্রেড পাওয়ার পর মিস বেভারলি যোগ দিয়েছিলেন অক্সফোর্ডে। তবে এ পর্যন্ত তাকে নিতে মা-বাবাকে অনেক অর্থ খরচ করতে হয়েছে। তার পিতা পিটার নিজস্ব ব্যবসায়ী পরামর্শ প্রতিষ্ঠান চালান। আর মা ভিক্টোরিয়া ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আলবার্ট মিউজিয়ামের একজন সিনিয়র কিউরেটর। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আইনি লড়াইয়ের পেশা বেছে নেয়ার আগে তিনি নিজের মতো পথ বেছে নিয়েছেন। বৃটিশ সামাজিক মিডিয়ার সুপার স্টার এখন জোয়েলা। তিনি প্রায় ১৫ লাখ পাউন্ড আয় করেছেন। তার মতো পথ ধরার চেষ্টা করছেন মিস বেভারলি। এখানে উল্লেখ্য যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা তারকা খ্যাতি পেয়ে গেছেন তারা বিভিন্ন ব্রান্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আর সেটা পারেন তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন থেকে অর্জিত কমিশনের মাধ্যমে। যদি এক্ষেত্রে অনুসারীর সংখ্যা ১০ হাজার হন তাহলে প্রতিটি পোস্টের জন্য তারা পান ১০০ পাউন্ড। অন্যদিকে যাদের এক লাখের মতো ফ্যান বা ভক্ত আছে তারা প্রতি পোস্ট থেকে কমিশন পান ৩৫০ পাউন্ড। এক্ষেত্রে মিস বেভারলি এরই মধ্যে এক মাসে চারটি স্পন্সরড ভিডিও পোস্ট করেছেন। ইউটিউবে তার রয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার অনুসারী। আর ইন্সটাগ্রামে আছে ৮ লাখ ৩৭ হাজার। এর অর্থ হলো তিনি প্রতি মাসে মোটা অংকের কমিশন পাচ্ছেন। তাই এখন সব কিছু বাদ দিয়ে তিনি অনলাইনের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এখান থেকেই আয়ের পথ পেয়ে গেছেন এবং তা অব্যাহত রাখতে চান। এ লেভেলে পড়া অবস্থায় তিনি যেসব ব্যায়াম চর্চা করতেন সেগুলো তখনই সামাজিক ওয়েবসাইটগুলোতে পোস্ট করা শুরু করেন। এতে যারা তার সঙ্গে যোগ দেন তার মধ্যে প্রায় ৪০০ জনকে ব্লক করে দিয়েছেন বিব্রত করার কারণে।