ইংল্যান্ড থেকে

ক্রোয়াটদের আরো ক্লান্ত করতে চায় ফ্রান্স

স্পোর্টস রিপোর্টার, মস্কো (রাশিয়া) থেকে

১৪ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

ফাইনালের আগে দু’দলই বসতি গড়েছে মস্কোতে। ফ্রান্সের বেস ক্যাম্প ইসরাতে। আর সারাঙ্গিতে ক্যাম্প করেছে ক্রোয়েশিয়া। গতকাল দু’দলই অনুশীলন করেছে লুঝনিকিতে। গতকাল সন্ধ্যায় লুঝনিকির সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাজির হয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ। সকালে অনুশীলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম।
টানা তিন ম্যাচ ১২০ মিনিট খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। ফাইনালের আগে ফ্রান্সের চেয়ে একদিন বিশ্রামও কম পেয়েছে দলটি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে এটাকে নিজেদের জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। ১৯৯৮ সালের ফ্রান্সের শিরোপাজয়ী দলের এই অধিনায়কের মতে ক্রোয়েশিয়ার মূল স্বস্তি তাদের মাঝমাঠ। এখানে রয়েছে রাকিটিচ, লুকা মদরিচ ও ইভান পেরিসিচের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। কিন্তু এরা গত ছয়টি ম্যাচে গড়ে ৬২ কিলোমিটারের বেশি দৌড়িয়েছে। যার ফলে ওরা এখন ক্লান্ত। ফাইনালে আমার টার্গেট থাকবে এদের আরও ক্লান্ত করে ফেলা। এজন্য আমাদেরও দ্রুত গতির ম্যাচ খেলতে হবে। মস্কো শহর থেকে বেশ দূরে ইসরাতে অনুশীলন করেছে ফরাসি ফুটবলাররা। অনুশীলনে বরাবরের মতো ডিফেন্সেই জোর দিয়েছেন দেশম। কাজ করেছেন প্রতিপক্ষের সেট পিস রুখে দেয়া নিয়েও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার করা দু’টি গোলও ভিডিওতে বার বার তার শিষ্যদের দেখিয়েছেন দেশম। অনুশীলন শেষে এ বিষয়ে দেশম বলেন, আমার টার্গেট থাকবে গোল না খাওয়া। যা আমরা বিগত ম্যাচগুলোতে করেছি। নিজেদের ডিফেন্স আগলে আক্রমণে গেছি। ফাইনালে পরিকল্পনা নিয়ে দেশম বলেন, এই ম্যাচ যদি অতিরিক্ত সময়েও যায় আমার সমস্যা হবে না। সমস্যা হবে ক্রোয়েশিয়ার। ১২০ মিনিট করে তিনটি ম্যাচ খেলেছে ওরা। অর্থাৎ গত তিন ম্যাচে আমাদের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। এই জায়গাটাতে আমাদের আঘাত করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে রাকিটিচও বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। ‘আসলেও গত তিন ম্যাচে আমাদের উপর দিয়ে বেশ ধকল গেছে। ৩০ মিনিট করে হিসাব করলে আমরা কিন্তু অলরেডি অন্যদের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলে ফেলেছি। তবে এটা ফাইনাল এসব ভেবে পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ এমন ম্যাচ লাইফে একবার আসে। অর্জন যা করার এখানেই করতে হবে’- বলেন এই ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার। নিজে সুস্থ আছেন জানিয়ে ভক্তদের উদ্দেশে রাকিটিচ বলেন, আপনারা উৎসবের জন্য তৈরি হন। আমরা লুঝনিকিতে সেই উপলক্ষ্য এনে দেবো। প্রতিপক্ষ ফ্রান্স নিয়ে বার্সেলোনার এই তারকা বলেন, যোগ্য দল হিসেবে ফ্রান্স ফাইনালে উঠেছে। তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবনার চেয়ে আমাদের টার্গেট ইতিহাস গড়ার। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে এই ফ্রান্সের কাছে হেরেই ফাইনালে উঠতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। ওই স্মৃতি মনে করে রাকিটিচ বলেন, হ্যাঁ আমরা ১-০ গোলে হেরেছিলাম। অনুশীলনে কোচ বার বার আমাদের বিষয়টি মনে করে দিয়ে বলেছেন, এই ফ্রান্সের কাছে হেরেই কিন্তু তোমাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। এবার সুযোগ এসেছে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটানোর। মঞ্চ প্রস্তুত। এখন শুধু বাকি তার বাস্তবায়ন ঘটানোর। অন্যদের ফিটনেসের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রোয়েশিয়ার এই তারকা বলেন, সেমিফাইনালের পরের দিন বিশ্রামে আমাদের সকলে ফিট হয়ে গেছে। আমরা তৈরি আছি ফাইনালের মঞ্চ রাঙাতে।
সবার দৃষ্টিও এখন লুঝনিকিতে। কি হবে আগামীকাল ফরাসি রূপকথা নাকি ক্রোয়াটদের ইতিহাস।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status