ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
কোচ দালিচের বুদ্ধি পেকেছে এশিয়া থেকে
স্পোর্টস ডেস্ক
১৪ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
ফুটবল বিশ্বের নতুন পরাশক্তি এখন ক্রোয়েশিয়া। মদ্রিচ, রাকিটিচ, ভিদার মতো খেলোয়াড়রা সেই পরাশক্তির উৎস হলেও ‘মাস্টার মাইন্ড’ মূলত কোচ জ্লাতকো দালিচের। তার জন্ম ১৯৬৬ সালের ২৬শে অক্টোবর বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনাতে। ২০১৭’র ৭ই অক্টোবর ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। তার অধীনে দারুণ সফল মদ্রিচরা। এখন পর্যন্ত দালিচের অধীনে খেলা ১৩ ম্যাচের ৮টিতেই জয় পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। তবে দালিচের সফলতাটা সবচেয়ে বেশি নজরে এসেছে বিশ্বকাপের কারণে। রাশিয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে সবক’টিতেই জয় পেয়েছে ক্রোয়াটরা। খেলোয়াড়ি জীবনে দালিচ ছিলেন একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। সাড়া জাগানো দালিচের কোচিং ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় কেটেছে এশিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে। ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর তার লক্ষ্য ছিল দলটিকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে দেয়া। আর এই দলটিই এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার অপেক্ষায়। বড় বড় দলের কোচ হতে গেলে কারিকুলাম ভিটা (সিভি) হতে হয় ভারি। থাকতে হয় ইউরোপের ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা। দালিচ সেই তুলনায় কিছুই নন। বিশ্বকাপের আগে তিনি মূলত মধ্যপ্রাচ্যে বেশি পরিচিত ছিলেন। তিনি কোচিং করিয়েছেন সৌদি আরবের আল ফায়সালি, আল হিলালি ক্লাবে। এছাড়া আরব আমিরাতের আল আইন ক্লাবেরও কোচের দায়িত্বে ছিলেন দালিচ। ৫১ বছর বয়সী এই কোচ আল ফায়সালি ক্লাবকে ২০১০-১১ মৌসুমে সৌদি পেশাদার লীগে সপ্তম স্থানে নিয়ে আসেন। এই ছিল শীর্ষ পর্যায়ের টুর্নামেন্টে ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন। এরপর দালিচ ডাক পান সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আল হিলালিতে। প্রথমে রিজার্ভ দলের কোচ থাকলেও কয়েক মাস পরে মূল দলের প্রধান কোচ হন তিনি। দলটিকে প্রথম বছরেই সাফল্য এনে দেন। প্রিন্স কাপে চ্যাম্পিয়ন করানোর পাশাপাশি ২০১২-১৩ মৌসুমে লীগে রানার্সআপ হয় আল হিলালী। ২০১৪’র মার্চে যোগ দেন আরব আমিরাতের আল আইন ক্লাবে। এই ক্লাবেও একের পর সাফল্য ধরা দিতে থাকে দালিচের হাতে। অ্যারাবিয়ান লীগ, প্রেসিডেন্ট কাপ, সুপার কাপ জেতেন দলটির হয়ে। ওই সময়ে তার বড় সাফল্য আসে ২০১৬ সালে। দলটিকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে নিয়ে যান তিনি। অবশ্য ফাইনালে কোরিয়ান ক্লাব জিয়োবাক হুন্দাই মটরসের কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাদের। এবার দালিচের সামনে আরেকটি ফাইনাল। যে ফাইনালের সঙ্গে তুলনা চলে না কোনো ফাইনালের।