খেলা
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘পেস বোলিং’ দৈন্যতার কারণ কী?
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণের বিপক্ষে ৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। সেই একই উইকেটে টাইগার পেসাররা ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের আঁচড়ও কাটতে পারেনি ঠিকমতো। অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তরুণ আবু জায়েদ রাহী উইকেট পেলেও বোলিংয়ে ছিলনা ধার। তাই যে সবুজ উইকেটে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীমরা খাবি খেয়েছেন সেখানে ব্রেথওয়েটরা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের স্কোর বোর্ডে যোগ করেছেন ৪শ’র বেশি রান। শুধু তাই নয়, অ্যান্টিগার পর জ্যামাইকাতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দলের একাদশ সাজিয়েছে তিন স্পিনার নিয়ে। বাজে পারফরম্যান্সের জন্য বাদ পড়েছেন রুবেল। এমনকি বিকল্প হিসেবে দলের সঙ্গে থাকা শফিউলও দেশে ফিরছেন ইনজুরি নিয়ে। একই কারণে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েছিলেন দেশ সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ইনজুরি ও বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দলে জায়গা পাননি তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ শহীদ। বলতে গেলে কোর্টনি ওয়ালশের শিষ্যদের নিয়ে এখন আশা করাই কঠিন। কেন পেস বিভাগের এমন হযবরল অবস্থা? তার নেপথ্যের কারণ নিয়ে সাবেক পেসার ও কোচ দিপুরায় চৌধুরী জানালেন নানা কারণ। তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল আমরা পেসারদের সংকটে ছিলাম। কিন্তু এখন অনেক পেসার। তারপরও আমাদের উন্নতি হচ্ছে না। এরমধ্যে অন্যতম কারণ ইনজুরি, চারদিনের ম্যাচ বেশি না খেলা ও পর্যাপ্ত পেস সহায়ক উইকেটের অভাব। অবশ্য এগুলো নিয়ে বেশ জোরেশোরে কাজ করছে বিসিবি। এবার যেটা হয়েছে যে হঠাৎ অনেকগুলো পেসার ইনজুরিতে। তাই দলে ভালো পেসারদের রাখা সম্ভব হয়নি।’
এ দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ইনজুরি আক্রান্ত হন পেসাররাই। তালহা জুবায়ের, সৈয়দ রাসেল, রবিউল ইসলাম শিবলু, শাফাক আল জাবেরের মতো অসংখ্য পেসার হারিয়ে গেছে ইনজুরির কারণে। এখন যারা দলে আছেন তাদের বেশির ভাগই লম্বা সময় দলের বাইরে থাকেন ইনজুরির কারণে। বিসিবি পেস বোলিং কোচ, জিম, ফিজিও, ট্রেইনারসহ উন্নত ব্যবস্থা নিলেও কেন এমন ইনজুরির মিছিল? এ বিষয়ে দিপু রায় বলেন, আমাদের দেশের পেসারদের কিন্তু খুব বেশি ম্যাচের লোড নিতে হয় না। তারপরও তারা ইনজুরিতে পরে। এর কারণ আমার কাছে মনে হয়ে নিজেদের ফিট রাখার জন্য যে কাজগুলো সেগুলো তারা সঠিকভাবে করছে না। বল করার পর কিভাবে জিম করতে হবে সেটিও তাদের জানা থাকা দরকার। আর এ ইনজুরিটাই এখন আমাদের অন্যতম চিন্তার কারণ। ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে আমরা যারা পেস বোলারদের নিয়ে কাজ করছি সবারই বড় চিন্তা এ বিষয়। বিসিবি বেশ কিছু প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে। কিছু দিন আগেই কক্সবাজারে ক্যাম্প হলো। আশা করি এ বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ হচ্ছে। তবে পেসারদেরও সচেতন হতে হবে।’
ইনজুরি ছাড়াও প্রশ্ন আছে পেস বোলিংয়ের মান নিয়েও। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে ১৮ বছরেও পেস বোলারের সঙ্কট মেটাতে পারেনি বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে বেশির ভাগ সময়ই খেলতে দেখা গেছে এক পেসার নিয়ে। এছাড়াও বর্তমান দলে থাকা কোন পেসারই নিয়মিত টেস্ট বোলার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। যাকে দিয়ে আশা ছিল সেই মোস্তাফিজও ইনজুরি আক্রান্ত। দেশে বিদেশে সব জায়গাতেই টেস্টে বাংলাদেশের পেস বিভাগকে মার খেতেই দেখা যায়। এর মানে স্পষ্ট যে স্কিলেও অনেক পিছিয়ে টাইগার পেসাররা। এর কারণ নিয়ে দিপু রায় চৌধুরী বলেন, এটি অস্বীকার করার কিছু নেই যে আমাদের পেসারদের স্কিলে সমস্যা আছে।
এর অন্যতম কারণ হলো আমরা চার দিনের ম্যাচ বেশি খেলি না। আর যাও খেলি সেখানেও বেশির ভাগ থাকে ফ্লাট উইকেটে। একজন পেসার বোলারকে তার স্কিলের উন্নতির জন্য প্রচুর পরিমাণে চারদিনের ম্যাচ খেলতে হবে। সেখানেই সে শিখবে কোন পরিস্থিতিতে কোন উইকেটে কি ধরনের বোলিং করতে হয়। এখন আমাদের যেটা করা উচিত শুধু নতুন পেসারই নয়, যারা জাতীয় দলে খেলেন তাদের নিয়ে চারদিনের ম্যাচের পরিকল্পনা থাকতে হবে। একটি পেসার যেন অন্তত থেকে ১২টি চার দিনের ম্যাচ খেলতে পারে সেই ভাবেই আমাদের চিন্তা করতে হবে।’ এছাড়া এই কোচ জানান পেসারদের উন্নতির জন্য এ দেশে বড় প্রতিবন্ধকতা পেস সহায়ক উইকেটের অভাব।
অন্যদিকে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি পেস বোলার কোর্টনি ওয়ালশের কাছ থেকে কি শিখছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? এ বিষয়ে দিপু রায় বলেন, ওয়ালশের যোগ্যতা নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। এখনতো চাম্পাকা ও আমিও কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি দ্রুতই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
এ দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ইনজুরি আক্রান্ত হন পেসাররাই। তালহা জুবায়ের, সৈয়দ রাসেল, রবিউল ইসলাম শিবলু, শাফাক আল জাবেরের মতো অসংখ্য পেসার হারিয়ে গেছে ইনজুরির কারণে। এখন যারা দলে আছেন তাদের বেশির ভাগই লম্বা সময় দলের বাইরে থাকেন ইনজুরির কারণে। বিসিবি পেস বোলিং কোচ, জিম, ফিজিও, ট্রেইনারসহ উন্নত ব্যবস্থা নিলেও কেন এমন ইনজুরির মিছিল? এ বিষয়ে দিপু রায় বলেন, আমাদের দেশের পেসারদের কিন্তু খুব বেশি ম্যাচের লোড নিতে হয় না। তারপরও তারা ইনজুরিতে পরে। এর কারণ আমার কাছে মনে হয়ে নিজেদের ফিট রাখার জন্য যে কাজগুলো সেগুলো তারা সঠিকভাবে করছে না। বল করার পর কিভাবে জিম করতে হবে সেটিও তাদের জানা থাকা দরকার। আর এ ইনজুরিটাই এখন আমাদের অন্যতম চিন্তার কারণ। ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে আমরা যারা পেস বোলারদের নিয়ে কাজ করছি সবারই বড় চিন্তা এ বিষয়। বিসিবি বেশ কিছু প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে। কিছু দিন আগেই কক্সবাজারে ক্যাম্প হলো। আশা করি এ বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ হচ্ছে। তবে পেসারদেরও সচেতন হতে হবে।’
ইনজুরি ছাড়াও প্রশ্ন আছে পেস বোলিংয়ের মান নিয়েও। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে ১৮ বছরেও পেস বোলারের সঙ্কট মেটাতে পারেনি বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে বেশির ভাগ সময়ই খেলতে দেখা গেছে এক পেসার নিয়ে। এছাড়াও বর্তমান দলে থাকা কোন পেসারই নিয়মিত টেস্ট বোলার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। যাকে দিয়ে আশা ছিল সেই মোস্তাফিজও ইনজুরি আক্রান্ত। দেশে বিদেশে সব জায়গাতেই টেস্টে বাংলাদেশের পেস বিভাগকে মার খেতেই দেখা যায়। এর মানে স্পষ্ট যে স্কিলেও অনেক পিছিয়ে টাইগার পেসাররা। এর কারণ নিয়ে দিপু রায় চৌধুরী বলেন, এটি অস্বীকার করার কিছু নেই যে আমাদের পেসারদের স্কিলে সমস্যা আছে।
এর অন্যতম কারণ হলো আমরা চার দিনের ম্যাচ বেশি খেলি না। আর যাও খেলি সেখানেও বেশির ভাগ থাকে ফ্লাট উইকেটে। একজন পেসার বোলারকে তার স্কিলের উন্নতির জন্য প্রচুর পরিমাণে চারদিনের ম্যাচ খেলতে হবে। সেখানেই সে শিখবে কোন পরিস্থিতিতে কোন উইকেটে কি ধরনের বোলিং করতে হয়। এখন আমাদের যেটা করা উচিত শুধু নতুন পেসারই নয়, যারা জাতীয় দলে খেলেন তাদের নিয়ে চারদিনের ম্যাচের পরিকল্পনা থাকতে হবে। একটি পেসার যেন অন্তত থেকে ১২টি চার দিনের ম্যাচ খেলতে পারে সেই ভাবেই আমাদের চিন্তা করতে হবে।’ এছাড়া এই কোচ জানান পেসারদের উন্নতির জন্য এ দেশে বড় প্রতিবন্ধকতা পেস সহায়ক উইকেটের অভাব।
অন্যদিকে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি পেস বোলার কোর্টনি ওয়ালশের কাছ থেকে কি শিখছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? এ বিষয়ে দিপু রায় বলেন, ওয়ালশের যোগ্যতা নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। এখনতো চাম্পাকা ও আমিও কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি দ্রুতই সব ঠিক হয়ে যাবে।’