শেষের পাতা

লেকশোর, লংবিচসহ গুলশানের ৯ হোটেলকে বৈধ করলো না রাজউক

দীন ইসলাম

১৪ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

নামি হোটেল লেকশোর ও লংবিচসহ গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার ৯ হোটেলকে বৈধ করলো না রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। তবে হোটেল আমারি, সিক্স সিজন হোটেল এবং গ্যালাক্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। গত জুনের শেষে অনুষ্ঠিত রাজউকের বোর্ড সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গৃহায়ন ও  গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার ১৩টি প্রতিষ্ঠান হোটেল বা গেস্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। এরপর ২০১৭ সালের ১৮ই জুলাই মতামত চেয়ে রাজউকে চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়। এর ভিত্তিতে রাজউকের নগর পরিকল্পনা শাখা তাদের মতামতে জানায়, আবেদন করা আবাসিক হোটেল বা গেস্ট হাউজগুলোর ইমারত আবাসিক হিসেবে অনুমোদিত। ১৩টি প্রতিষ্ঠানের জায়গা রাজউক কর্তৃক ঘোষিত ও বাণিজ্যিক রূপান্তরের জন্য অনুমোদিত রাস্তার পাশে অবস্থিত নয়। তবে গেস্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। বিষয়টি জানিয়ে রাজউক থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। এর ভিত্তিতে গত ১৮ই জানুয়ারি নতুন একটি চিঠি রাজউকে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান ইমারতগুলো গেস্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহারের জন্য ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা-২০০৮ অনুযায়ী অনুমোদন এবং ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের নির্দেশনা মোতাবেক গেস্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে গণপূর্ত মন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছে। এটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর আলাদা আলাদা ফাইলে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে একটি ফাইলে উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে বনানী আবাসিক এলাকার স্টার কাবাব হোটেলকে বাণিজ্যিক অনুমতি আগেই দেয়া হয়। স্টার হোটেলের পক্ষে মীর আক্তার উদ্দিন আবেদন করেন এবং অনুমোদন পান। লেকশোর হোটেল সম্পর্কে রাজউকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোটেলটির একটি বেইজমেন্টসহ সাত তলা ইমারত রয়েছে। হোটেলের মালিক তারেক শামস ও মমতাজ শিরিন। প্লটের একক মালিক মমতাজ শিরিন। তার নামে বরাদ্দ ও রেজিস্ট্রিকৃত জমির পরিমাণ ১৮ কাঠা সাত ছটাক। পরে ১৯৮১ সালের ২রা মে প্লটের দক্ষিণ অংশে ৫ কাঠা আয়তনের খণ্ড জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। এর বিপরীতে সরজমিন চার কাঠা ১৪ ছটাক জমির দখল হস্তান্তর করা হয়। দখল হস্তান্তরের পর কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না- এমন শর্তে মমতাজ শিরিনকে খণ্ড জমির দখল হস্তান্তর ও রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়। এরপরও তিনি অবৈধভাবে নয় কাঠা এক ছটাক জমি দখল করে রেখেছেন এবং দখল করা জমিতে ইমারত নির্মাণ করেছেন। এ কারণে ২০০৩ সালের ১৯শে এপ্রিল নকশা বাতিল করা হয়। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্লটের মালিক আবেদন না করায়, কিছু ক্ষেত্রে অনুমোদিত নকশা না থাকায় এবং অবৈধ স্থাপনা থাকায় মন্ত্রণালয়ের অনুশাসন থাকার পরও নয়টি প্রতিষ্ঠানকে বৈধ করেনি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- হোটেল বেঙ্গল রুবেরী লিমিটেড, হোটেল বেঙ্গল ক্যানারী লিমিটেড, ডরিন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, লেকশোর সার্ভিস এপার্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, এসকট দি রেসিডেন্স লিমিটেড, হোটেল বেঙ্গল ইন লিমিটেড, গোল্ডেন টিউলিপ দি গ্রান্ডমার্ক এবং লংবিচ হোটেল লিমিটেড।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status