দেশ বিদেশ
বেড়েছে কাঁচামরিচ মাছ-মাংস ও ডিমের দাম
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৪ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
রাজধানীতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের সবজি, মাছ, মাংস ও ডিমের দাম। এর মধ্যে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচ ও ডিমের দাম। বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। আর ডিমের হালি ৩৫ টাকা। গতকাল রাজধানীর হাতিরপুল, কাওরানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাড়তি চালের দাম এখনো কমেনি। আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সবজি বাজারে। বড় বাজারের তুলনায় ছোট বাজারে দাম বেশি বেড়েছে। দেশের বাজারে যোগানের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে কাঁচামরিচ। তবুও দাম কমেনি এই পণ্যটির। বরং দেশি মরিচের চেয়ে আমদানিকৃত মরিচেরই দাম বেশি কাঁচা বাজারগুলোতে।
বাজারে প্রতিকেজি করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৯০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি ৭০ টাকা ও বাঁধা কপি ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কাওরানবাজারে আসা এক ক্রেতা মনির বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে কোনো কোনো সবজির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। টমেটো গত সপ্তাহে ৮০ টাকা হলেও এখন ১০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। গাজর ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি-খুচরা বাজারের ব্যবধান জানি না। তবে, প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন।
সবজি বিক্রেতা সামসুল বলেন, এখন সবজির ভরা মৌসুম না হওয়ায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি হওয়ায় খুচরাতেও এর কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি মাংসে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর মাছ ভেদে বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫২০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, মুরগি ব্রয়লার ১৬০ টাকা, লেয়ার ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি রুই ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাস ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা, টেংরা ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, শিং ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মাগুর (দেশি) ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডিম বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। ডিম ভেদে প্রতি ডজনের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ৯৫ টাকায়, দেশি মুরগির ডিম ১৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এদিকে বাড়তি চালের দাম এখনো কমেনি। ঈদুল আজহার আগে দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈরী আবহাওয়া আর আমদানিকৃত চালের উপর শুল্ক আরোপকেই কারণ বলছেন বিক্রেতারা। চালের বস্তা এ সপ্তাহেও সস্তা হয়নি। বস্তা প্রতি বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই বাড়তি চালের দাম কমের দিকে নয়। বরং আসছে ঈদের আগে আরো বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিক্রেতারা।
পাইকারি বাজার শ্যামবাজারের আমদানিকারক নূর আলম জানান, গত কয়েকদিনে আমদানি বেড়েছে কাঁচামরিচের। গত দুই দিনে আমদানি মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। যা আগে হিলি স্থলবন্দরে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। এখন সেই মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি প্রকার ভেদে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। ভারতের বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার কারণে দাম বেড়েছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশের বাজারে কাঁচামরিচের পর্যাপ্ত যোগান থাকলে পণ্যটি তেমন আমদানি হয় না। কিন্তু বর্তমানে যোগান সংকট থাকায় ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছে পচন ধরেছে। এ ছাড়াও ফুলফল পচে যাওয়ায় মরিচের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। ফলে বাজারে মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মাস খানেক ধরে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। ফলে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে মরিচের দাম এখন বেশ চড়া। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা মরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। আর দেশি মরিচ (মানিকগঞ্জ থেকে আসা) বিক্রি করছেন ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। খুচরা বাজারে গিয়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৯০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি ৭০ টাকা ও বাঁধা কপি ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কাওরানবাজারে আসা এক ক্রেতা মনির বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে কোনো কোনো সবজির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। টমেটো গত সপ্তাহে ৮০ টাকা হলেও এখন ১০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। গাজর ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি-খুচরা বাজারের ব্যবধান জানি না। তবে, প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন।
সবজি বিক্রেতা সামসুল বলেন, এখন সবজির ভরা মৌসুম না হওয়ায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি হওয়ায় খুচরাতেও এর কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি মাংসে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর মাছ ভেদে বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫২০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, মুরগি ব্রয়লার ১৬০ টাকা, লেয়ার ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি রুই ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাস ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা, টেংরা ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, শিং ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মাগুর (দেশি) ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডিম বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। ডিম ভেদে প্রতি ডজনের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ৯৫ টাকায়, দেশি মুরগির ডিম ১৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এদিকে বাড়তি চালের দাম এখনো কমেনি। ঈদুল আজহার আগে দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈরী আবহাওয়া আর আমদানিকৃত চালের উপর শুল্ক আরোপকেই কারণ বলছেন বিক্রেতারা। চালের বস্তা এ সপ্তাহেও সস্তা হয়নি। বস্তা প্রতি বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই বাড়তি চালের দাম কমের দিকে নয়। বরং আসছে ঈদের আগে আরো বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিক্রেতারা।
পাইকারি বাজার শ্যামবাজারের আমদানিকারক নূর আলম জানান, গত কয়েকদিনে আমদানি বেড়েছে কাঁচামরিচের। গত দুই দিনে আমদানি মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। যা আগে হিলি স্থলবন্দরে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। এখন সেই মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি প্রকার ভেদে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। ভারতের বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার কারণে দাম বেড়েছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশের বাজারে কাঁচামরিচের পর্যাপ্ত যোগান থাকলে পণ্যটি তেমন আমদানি হয় না। কিন্তু বর্তমানে যোগান সংকট থাকায় ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছে পচন ধরেছে। এ ছাড়াও ফুলফল পচে যাওয়ায় মরিচের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। ফলে বাজারে মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মাস খানেক ধরে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। ফলে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে মরিচের দাম এখন বেশ চড়া। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা মরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। আর দেশি মরিচ (মানিকগঞ্জ থেকে আসা) বিক্রি করছেন ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। খুচরা বাজারে গিয়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়।