বাংলারজমিন
বড়াইগ্রামে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ইজ্জতের মূল্য ভাগবাটোয়ারা
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
১৪ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
নাটোরের বড়াইগ্রামে স্কুল থেকে ডেকে নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বররা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় রফা করেছে। এই টাকার ৪০ হাজার টাকা গ্রাম প্রধানরা নিজেরাই ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এবং বাকি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নগদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় অভিযুক্ত ধর্ষণকারী সমমূল্যের জমি প্রদানের অঙ্গীকার করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামের গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাহফুজ সঙ্গীয় গ্রাম প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে এই বিচারকার্য সম্পন্ন করেন। ওইদিন দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই গ্রামের বাহাদুর প্রামানিক(৭০) নামের এক বৃদ্ধ গড়মাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে কৌশলে তার ডেকোরেটরের দোকানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানিয়েছে, দাদা-নাতি সম্পর্কের সূত্র ধরে বাহাদুর ওই বিদ্যালয়ের একই ক্লাসের একটি মেয়েকে দিয়ে কিছু কথা আছে বলে তাকে তার ভাই ভাই ডেকোরেটরে ডেকে নেয়। সেখানে দোকানের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে জানিয়ে দিয়ে তাকে ২শ’ টাকা হাতে ধরিয়ে দেয়। কিন্তু সে সঙ্গে সঙ্গে বাজারে এসে তার চাচাকে বলে দেয় এবং তৎক্ষণাত বাজারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এলাকাবাসী জানান, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা তাকে ছোট রেখেই মারা গেছেন। বাবা ঢাকা শহরে থাকেন। ছোট বোনকে নিয়ে সে তার তার দাদীর সঙ্গে বসবাস করছে। স্থানীয়রা অনেকেই জানান, বাহাদুর এর আগেও এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। সে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারে না। দুই স্ত্রীসহ বাহাদুর ওই গ্রামে বসবাস করে আসছে। আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজ জানান, তার কাছে দু’পক্ষই বিচার নিয়ে আসায় কয়েকজন গ্রাম প্রধান নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছে। এক্ষেত্রে ৪০ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার অভিযোগটি তিনি অস্বীকার করে জানান, সব টাকাই ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে দেয়া হবে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কুমার দাস জানান, গ্রাম্য শালিসে কখনো ধর্ষণের ঘটনার মীমাংসা হতে পারে না। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হবে। ধর্ষক ও সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানিয়েছে, দাদা-নাতি সম্পর্কের সূত্র ধরে বাহাদুর ওই বিদ্যালয়ের একই ক্লাসের একটি মেয়েকে দিয়ে কিছু কথা আছে বলে তাকে তার ভাই ভাই ডেকোরেটরে ডেকে নেয়। সেখানে দোকানের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে জানিয়ে দিয়ে তাকে ২শ’ টাকা হাতে ধরিয়ে দেয়। কিন্তু সে সঙ্গে সঙ্গে বাজারে এসে তার চাচাকে বলে দেয় এবং তৎক্ষণাত বাজারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এলাকাবাসী জানান, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা তাকে ছোট রেখেই মারা গেছেন। বাবা ঢাকা শহরে থাকেন। ছোট বোনকে নিয়ে সে তার তার দাদীর সঙ্গে বসবাস করছে। স্থানীয়রা অনেকেই জানান, বাহাদুর এর আগেও এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। সে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারে না। দুই স্ত্রীসহ বাহাদুর ওই গ্রামে বসবাস করে আসছে। আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজ জানান, তার কাছে দু’পক্ষই বিচার নিয়ে আসায় কয়েকজন গ্রাম প্রধান নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছে। এক্ষেত্রে ৪০ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার অভিযোগটি তিনি অস্বীকার করে জানান, সব টাকাই ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে দেয়া হবে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কুমার দাস জানান, গ্রাম্য শালিসে কখনো ধর্ষণের ঘটনার মীমাংসা হতে পারে না। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হবে। ধর্ষক ও সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে।