বাংলারজমিন
ধামরাইয়ে কলেজছাত্রী ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকি
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
১৪ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
ঢাকার ধামরাইয়ে এক কলেজছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ সময় ধর্ষকের সহযোগিরা পরিবারকে জিম্মি করতে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। বৃহস্পতিবার ধর্ষিতার পরিবারের কাছে ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় এবং দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের চাঁদা। মেয়ের এমন চিত্র দেখে মা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং ভিডিও ধারণকারীদের হাতে পায়ে পড়ে মেয়ের সম্মান ভিক্ষা চান। কিন্তু মায়ের চোখের পানির মৃল্যায়ন না করে বার-বার হুমকি দেয়ায় তাদের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়। কিন্তু চাহিদা মতো চাঁদা না পাওয়ায় ধর্ষণের চিত্রটি মোবাইলে মোবাইলে ছেড়ে দেয় তারা। যা এখন ধামরাইয়ে ভাইরাল হয়েছে। এতে ক্ষোভ আর অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে একটি মামলা করেছেন।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী সম্প্রতি কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব হোসেনের ভাতিজা সাগর আলীর ছেলে লিটন তার সহযোগিদের নিয়ে সুয়াপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকি দিয়ে বাজারের পশ্চিম পাশে আবুল কালামদের বাড়ি নিয়ে ছাত্রীকে আটকে রাখে। এরপর জোর করে লিটন তাকে ধর্ষণ করে। পরিকল্পিতভাবে পরিবারটিকে জিম্মি করতে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে আবুল কালাম, আক্তার হোসেনসহ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষণের ভিডিও নিয়ে হাজির হয় ধর্ষিতার বাড়িতে। পরিবারটিকে দেখিয়ে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দাবি করা হয় ৫০ হাজার টাকা। মেয়ের জীবনের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন ও মোবাইল থেকে তা ডিলেট করার জন্য ১০ হাজার টাকা সেলিম নামে একজনের কাছে তুলে দেন ধর্ষিতার মা। কিন্তু চাহিদা মতো চাঁদা না পাওয়ায় তা বিকালেই মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে দেয় তারা। ধর্ষিতার মা সাংবাদিকদের জানান, আমার একটি মাত্র সন্তান যাকে ঘিরে আমার স্বপ্ন। স্থানীয় চিহ্নিত লম্পটরা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এবং তা ভিডিও ধারণ করে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে। এ লজ্জা সারা দেশের। আমি ধর্ষকসহ তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি করছি। যাতে এ শাস্তি দেখে অন্যরা নারী নির্যাতন থেকে দূরে থাকে।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী সম্প্রতি কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব হোসেনের ভাতিজা সাগর আলীর ছেলে লিটন তার সহযোগিদের নিয়ে সুয়াপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকি দিয়ে বাজারের পশ্চিম পাশে আবুল কালামদের বাড়ি নিয়ে ছাত্রীকে আটকে রাখে। এরপর জোর করে লিটন তাকে ধর্ষণ করে। পরিকল্পিতভাবে পরিবারটিকে জিম্মি করতে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে আবুল কালাম, আক্তার হোসেনসহ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষণের ভিডিও নিয়ে হাজির হয় ধর্ষিতার বাড়িতে। পরিবারটিকে দেখিয়ে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দাবি করা হয় ৫০ হাজার টাকা। মেয়ের জীবনের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন ও মোবাইল থেকে তা ডিলেট করার জন্য ১০ হাজার টাকা সেলিম নামে একজনের কাছে তুলে দেন ধর্ষিতার মা। কিন্তু চাহিদা মতো চাঁদা না পাওয়ায় তা বিকালেই মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে দেয় তারা। ধর্ষিতার মা সাংবাদিকদের জানান, আমার একটি মাত্র সন্তান যাকে ঘিরে আমার স্বপ্ন। স্থানীয় চিহ্নিত লম্পটরা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এবং তা ভিডিও ধারণ করে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে। এ লজ্জা সারা দেশের। আমি ধর্ষকসহ তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি করছি। যাতে এ শাস্তি দেখে অন্যরা নারী নির্যাতন থেকে দূরে থাকে।