বাংলারজমিন
মানিকগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে যুবলীগ নেতা বহিষ্কার
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে
১৪ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
নারী কেলেঙ্কারি ও ধর্ষণের অভিযোগে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. লিটন রানাকে অবশেষে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার শাহানাজ বেগম নামের দুই সন্তানের জননী ঘিওর থানায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে। বিয়ের দাবিতে ওই নারী গত মঙ্গলবার যুবলীগ নেতার বাড়িতে উঠেছিলেন। বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. হাফিজ শিকদার জানান, তার কমিটির সহ-সভাপতি লিটন রানা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ছিল কিনা সে বিষয়টি নিয়ে দলীয়ভাবে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে লিটন রানা নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি ঘিওর উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লিটন রানাকে বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি পদসহ সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কারণ তার এ জঘন্য অপরাধের কারণে দলের ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন যুবলীগের প্যাডে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত পত্রে বহিষ্কারের আদেশের কপি দলীয় বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এদিকে যুবলীগ নেতা লিটন রানার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন দুই সন্তানের জননী শাহানাজ বেগম। মঙ্গলবার রাতে তিনি নিজে বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। ঘিওর থানার এসআই আলতাফ হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার শাহানাজ বেগমকে লিটন রানার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে ওই নারী জানিয়েছেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিটন রানা বিভিন্ন সময়ে তাকে ধর্ষণ করে। এই অভিযোগে ওই নারী বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আসামি পালিয়ে যাওয়ার কারণে এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতা মো. লিটনের সঙ্গে ওই নারীর স্বামী কামাল শিকদার মাটির ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। যার সুবাদে লিটন ঘনঘন কামাল শিকদারের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। একপর্যায়ে কামালের স্ত্রীর সঙ্গে লিটনের ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। লোভ লালসা আর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবলীগ নেতা লিটন ওই নারীর সঙ্গে গড়ে তোলেন শারীরিক সম্পর্ক। দুই সন্তানের জননী শাহানাজের ভাষ্য অনুযায়ী সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। যার কারণে ওই নারী গত সোমবার বিয়ের দাবিতে যুবলীগ নেতার বাড়িতে উঠে পড়েন। এ অবস্থায় পালিয়ে যায় লিটন। পরদিন ঘিওর থানার পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং লিটন রানার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। রাজনীতির পদের পাশাপাশি লিটন রানা স্থানীয় ধুলন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি। তার বাড়ি বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ধুলন্ডি গ্রামে। তার স্ত্রী ও এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতা মো. লিটনের সঙ্গে ওই নারীর স্বামী কামাল শিকদার মাটির ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। যার সুবাদে লিটন ঘনঘন কামাল শিকদারের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। একপর্যায়ে কামালের স্ত্রীর সঙ্গে লিটনের ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। লোভ লালসা আর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবলীগ নেতা লিটন ওই নারীর সঙ্গে গড়ে তোলেন শারীরিক সম্পর্ক। দুই সন্তানের জননী শাহানাজের ভাষ্য অনুযায়ী সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। যার কারণে ওই নারী গত সোমবার বিয়ের দাবিতে যুবলীগ নেতার বাড়িতে উঠে পড়েন। এ অবস্থায় পালিয়ে যায় লিটন। পরদিন ঘিওর থানার পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং লিটন রানার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। রাজনীতির পদের পাশাপাশি লিটন রানা স্থানীয় ধুলন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি। তার বাড়ি বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ধুলন্ডি গ্রামে। তার স্ত্রী ও এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।