ইংল্যান্ড থেকে
তরুণদের জন্য সময় চাইলেন কেইন
স্পোর্টস রিপোর্টার, মস্কো (রাশিয়া) থেকে
১৩ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
ইংলিশরা ভেবেই নিয়েছিল ১৯৬৬ ’র পর এবারও সোনালি ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে পারবে। ইংলিশদের এমন স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে মাত্র ২৯ বছর আগে স্বাধীন হওয়া দেশ ক্রোয়েশিয়া। গ্যারেথ সাউথগেট প্রথমে লিড নিয়ে পরে দুই গোল হজম। ইংলান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেন, এমন হারের কোনো ব্যাখ্যা হয় না। ৪৭ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘বিরতির পর আমরা বলের ওপর দখল হারিয়েছি। খুব সহজেই আমরা বল হারাচ্ছিলাম। চাপের মুখে খেলোয়াড়রা লম্বা পাশের দিকে মনোযোগী হচ্ছিল। তারপরও এ দল এবং খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি গর্বিত।’
ভাঙ্গা হৃদয় নিয়ে ম্যাচের পর মিক্সড জোনে আসেন ইংলিশ ফুটবলাররা। রহিম স্টার্লিং, জর্ডান পিকফোর্ড, হ্যারি কেইন এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। হারের পরও সকলকে ধন্যবাদ দিয়েছেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। মিডিয়া ম্যানেজারকে সঙ্গে নিয়ে সবার আগে মিক্সড জোনে পা রাখেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। অসংখ্য মিডিয়াকর্মীর পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় বিবিসি সাংবাদিক টমাস হ্যারির সামনে আটকে যান কেইন। হারের ব্যাখ্যায় এখন পর্যন্ত ছয় গোল করে গোল্ডেন বুটের দাবিদার এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘এটা ছিল দুর্দান্ত একটা সফর। শেষপর্যন্ত এটা আমাদের কষ্ট দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল এবং বিশ্বকাপ জয় করা। ভেবেছিলাম আমরা তার উপযোগী। শেষপর্যন্ত সেটা প্রমাণ করতে পারিনি। তার পরেও আমি এই দল নিয়ে গর্ব করি। আমি ইয়ং ছেলেদের জন্য সুযোগ চাইবো। আমার বিশ্বাস আগামী চার বছর ওরা সুযোগ পেলে, আগামীতে ঠিকই করে দেখাবে।’ যারা সমর্থন যুগিয়েছেন দলের উপর আস্থা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে কেইন বলেন, ‘যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন, যাদের বিশ্বাস ছিল এ সময়টা ব্যতিক্রম, যারা স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়নি, যারা বিশ্বাস করেন এটা কেবলমাত্র শুরু, তাদের সকলকে ধন্যবাদ।
কিয়েরন ট্রিপারের ফ্রি-কিক গোলে শুরুতে লিড নিয়েও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। ২০০৬ সালে ডেভিড ব্যাকহামের পর এটিই ছিল বিশ্বকাপে কোনো ইংলিশ ফুটবলারের সরাসরি ফ্রি-কিক গোল। ইভান পেরিসিচের গোলে সমতায় আসে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৯ মিনিটে মারিও মানদুকিচের গোলে হেরে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ সাফল্য পুনরাবৃত্তির স্বপ্ন বিসর্জন দেয় ইংল্যান্ড। এ নিয়ে বড় প্রতিযোগিতায় পাঁচ সেমিফাইনালের চারটিই হারলো ইংল্যান্ড। এ ম্যাচের আগে ১৯৬৮ সালের ইউরোয় যুগোস্লাভিয়ার কাছে, ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে, ১৯৯৬ সালের ইউরোয় জার্মানির কাছে হারতে হয়েছে থ্রি-লায়নদের। ম্যাচের পর বেশকিছু সময় ইংলিশ সমর্থককে লুঝনিকি স্টেডিয়ামের ফাঁকা গ্যালারিতে অবস্থান করতে দেখা গেছে। দেহের ভাষায় পরিষ্কার সাউথগটের দল নিয়ে ওই সমর্থকরা এখন গর্ব করেন। যেমনটা করছেন গোলরক্ষক পিকফোর্ড, ‘নিজেদের নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের জন্য এটা ছিল বড় অভিজ্ঞতা। আমরা একটা দল হিসেবে গড়ে উঠেছি। যা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।’ তরুণ তুর্কি রহীম স্টার্লিংয়ের দাবি জার্নি এখান থেকে কেবল শুরু। ইংলিশ দর্শকরাও হয়তো তাই ভাবছেন!
ভাঙ্গা হৃদয় নিয়ে ম্যাচের পর মিক্সড জোনে আসেন ইংলিশ ফুটবলাররা। রহিম স্টার্লিং, জর্ডান পিকফোর্ড, হ্যারি কেইন এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। হারের পরও সকলকে ধন্যবাদ দিয়েছেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। মিডিয়া ম্যানেজারকে সঙ্গে নিয়ে সবার আগে মিক্সড জোনে পা রাখেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। অসংখ্য মিডিয়াকর্মীর পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় বিবিসি সাংবাদিক টমাস হ্যারির সামনে আটকে যান কেইন। হারের ব্যাখ্যায় এখন পর্যন্ত ছয় গোল করে গোল্ডেন বুটের দাবিদার এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘এটা ছিল দুর্দান্ত একটা সফর। শেষপর্যন্ত এটা আমাদের কষ্ট দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল এবং বিশ্বকাপ জয় করা। ভেবেছিলাম আমরা তার উপযোগী। শেষপর্যন্ত সেটা প্রমাণ করতে পারিনি। তার পরেও আমি এই দল নিয়ে গর্ব করি। আমি ইয়ং ছেলেদের জন্য সুযোগ চাইবো। আমার বিশ্বাস আগামী চার বছর ওরা সুযোগ পেলে, আগামীতে ঠিকই করে দেখাবে।’ যারা সমর্থন যুগিয়েছেন দলের উপর আস্থা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে কেইন বলেন, ‘যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন, যাদের বিশ্বাস ছিল এ সময়টা ব্যতিক্রম, যারা স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়নি, যারা বিশ্বাস করেন এটা কেবলমাত্র শুরু, তাদের সকলকে ধন্যবাদ।
কিয়েরন ট্রিপারের ফ্রি-কিক গোলে শুরুতে লিড নিয়েও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। ২০০৬ সালে ডেভিড ব্যাকহামের পর এটিই ছিল বিশ্বকাপে কোনো ইংলিশ ফুটবলারের সরাসরি ফ্রি-কিক গোল। ইভান পেরিসিচের গোলে সমতায় আসে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৯ মিনিটে মারিও মানদুকিচের গোলে হেরে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ সাফল্য পুনরাবৃত্তির স্বপ্ন বিসর্জন দেয় ইংল্যান্ড। এ নিয়ে বড় প্রতিযোগিতায় পাঁচ সেমিফাইনালের চারটিই হারলো ইংল্যান্ড। এ ম্যাচের আগে ১৯৬৮ সালের ইউরোয় যুগোস্লাভিয়ার কাছে, ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে, ১৯৯৬ সালের ইউরোয় জার্মানির কাছে হারতে হয়েছে থ্রি-লায়নদের। ম্যাচের পর বেশকিছু সময় ইংলিশ সমর্থককে লুঝনিকি স্টেডিয়ামের ফাঁকা গ্যালারিতে অবস্থান করতে দেখা গেছে। দেহের ভাষায় পরিষ্কার সাউথগটের দল নিয়ে ওই সমর্থকরা এখন গর্ব করেন। যেমনটা করছেন গোলরক্ষক পিকফোর্ড, ‘নিজেদের নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের জন্য এটা ছিল বড় অভিজ্ঞতা। আমরা একটা দল হিসেবে গড়ে উঠেছি। যা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।’ তরুণ তুর্কি রহীম স্টার্লিংয়ের দাবি জার্নি এখান থেকে কেবল শুরু। ইংলিশ দর্শকরাও হয়তো তাই ভাবছেন!