ভোলাগঞ্জে পরিবেশ মোল্লা গ্রেপ্তার

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের কুখ্যাত পরিবেশ মোল্লা ওরফে তাজুল অবশেষে পুলিশের খাঁচায় বন্দি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কোম্পানীগঞ্জের ওসি আব্দুল হাই আরো জানান, আটক পরিবেশ মোল্লা ওরফে তাজুল ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি, ধলাই সেতুর পাদদেশে অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে পাথর উত্তোলন, প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা উত্তোলন করা সহ নানা অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন পাথরখেকোকে সঙ্গে নিয়ে পরিবেশ মোল্লা ওরফে তাজুল সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকাশ্যে ভোলাগঞ্জ এলাকায় ধ্বংসলিলা চালালেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রতিদিন ভোলাগঞ্জের বোমা মালিকদের কাছ থেকে পুলিশের এজেন্ট পরিচয়ে ডাকাত বিল্লাল এবং তাজুল ওরফে পরিবেশ মোল্লা জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সোর্স পরিচয়ে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানাসহ সিলেটের বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে প্রকাশ্যে এসব অপকর্ম করছে এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভোলাগঞ্জে এ নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নেই। ফলে বোমা মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে ফ্রি-স্টাইলে। এভাবে পাথর উত্তোলন করার ফলে ধলাই সেতুর পাশাপাশি আশপাশের ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনাও হুমকিতে পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে কালাসাদেক বিজিবি ক্যাম্প। এভাবে চলতে থাকলে স্বল্পদিনেই পাল্টে যাবে এখানকার দৃশ্যপট। সেতু ঘেঁষে পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবিতে আন্দোলনেও নামে কোম্পানীগঞ্জ এলাকাবাসী। সিলেটের দীর্ঘতম এ সেতুর কারণে নদীর পূর্বপাড়ের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সেতুটিকে ঘিরে এখানে শতাধিক ক্রাশার মিল গড়ে ওঠে। গতি আসে ব্যবসা বাণিজ্যে।