দেশ বিদেশ

সেই বাদল ফরাজীর মুক্তি চেয়ে করা রিট খারিজ

স্টাফ রিপোর্টার

১২ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন

হত্যা মামলায় ১০ বছর ভারতের কারাগারে বন্দিজীবন কাটিয়ে দেশে ফেরা বাদল ফরাজীর মুক্তির আদেশ চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্তে শুনানি নিয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন। বাদল ফরাজীর ভারত থেকে দেশে ফেরার বিষয়টি গত রোববার হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাওছার। পরে আদালতের নির্দেশে তারা রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভুল বিচারের শিকার হয়ে বাদল ফরাজী ভারতে ১০ বছর কারাভোগ করেছেন। দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে আবারো কারাগারে নেয়া হয়েছে, যা সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৬ ও ৪৪ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। একই সঙ্গে বাদল ফরাজীকে কারামুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি আদালতের নির্দেশনা ও রুল চাওয়া হয় রিট আবেদনে। গতকাল আদেশের পর রিটকারী আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, ‘আদালত রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন। আদেশে আদালত উল্লেখ করেছেন, ভারতের আদালতের রায়ে দেখা যাচ্ছে ওই হত্যা মামলায় তারা বাংলাদেশের বাদল ফরাজীকেই সাজা দিয়েছেন। ভারত থেকে বাদল ফরাজীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা সন্তোষজনক। ভবিষ্যতে হয়তো তার কারামুক্তির বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা দেয়া সমীচীন হবে না।’ তিনি জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী কোনো আইনি প্রক্রিয়া আছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলেছেন আদালত।   

২০০৮ সালের ৬ই মে দিল্লির অমর কলোনিতে এক বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে বাদল ফরাজীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। তবে বাদল তার দুই মাসেরও বেশি সময় পর ১৩ই জুলাই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলে সেখানকার এক পত্রিকার প্রতিবেদনে উঠে আসে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাদল সিং নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ খুঁজছিল। তাকে ধরতে সীমান্তে সতর্কতা জারি হয়েছিল। এরই  মধ্যে বেনাপোল চেকপোস্ট হয়ে টুরিস্ট ভিসায় ভারতে ঢুকে গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশি বাদল ফরাজী। হত্যাকাণ্ডের সময় বাদল ফরাজী ভারতে ছিলেন না উল্লেখ করে তাকে মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাতে ২০১২ সালে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন। পরে ২০১৫ সালে বাদলকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় দিল্লির একটি আদালত। দিল্লির হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রাখেন। বাদল ফরাজীকে রাখা হয় দিল্লির তিহার জেলে। পরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় বাদল ফরাজী ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে সেখানকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তির আওতায় গত ৭ই জুলাই বাদলকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে তাকে রাখা হয়েছে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status