বাংলারজমিন
নোবিপ্রবির ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১১ জুলাই ২০১৮, বুধবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জন্য ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব ব্যয় সংবলিত মূল অনুন্নয়ন বাজেট ৫৬.৬২ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন বাজেট ৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ১৩৩.৫৬ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম, ভৌত ও একাডেমিক সুবিধা বৃদ্ধিকরণ, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও সাধারণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আগামী এক বছরের ব্যয় হিসাব এই বাজেটে অন্তর্ভুক্ত। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর ভিডিও কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাজেট পেশ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান চাঁন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন, বিভিন্ন অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পরিচালক হিসাব, প্রক্টর, দপ্তরসমূহের পরিচালক ও প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তাবিত মূল রাজস্ব বাজেটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা যা মোট বাজটের প্রায় ৫৯ শতাংশ। সারবরাহ ও সেবা খাতে ১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা যা বাজেটের ২৮ শতাংশ। এছাড়া মেরামত ও সংরক্ষণ এর ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং মূলধন মঞ্জুরি খাতে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা যা বাজেটের ১১ শতাংশ। প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেটে ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও একাডেমিক সুবিধা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পে বৈজ্ঞানিক ও ল্যাব যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ১২ কোটি টাকা এবং আবাসিক ভবন নির্মাণে ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরি ভবন, অডিটোরিয়াম ভবন, মসজিদ, উপাসানলয় ও মেডিকেল সেন্টার নির্মাণে ২২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাজেটের আয়ের উৎস বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ও নিজস্ব আয়। এবার ইউজিসি দেবে ৪৮ কোটি ২০ লাখ টাকা আর বাকি ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা আসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায় করা ফি, দালান ও ভূসম্পত্তি থেকে আয় ও বিবিধ প্রাপ্তি। অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান চাঁন বলেন, ‘২০০৬-০৭ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজস্ব বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ছিল ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা বর্তমানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যা প্রায় তিনগুণে বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬ কোটি ৬২ লাখ টাকায় উন্নীত হয়। সে হিসেবে এবারের ঘোষিত বাজেট এর আকার অন্য সব অর্থবছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণার মত গুরুত্বপূর্ণ খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত বিগত ১০ বছরে বরাদ্দ পাওয়া যায় ১৩ লাখ টাকা।
যার আকার এ অর্থবছরে বছরে দাঁড়ায় ৭৭ লাখ টাকায়। এটিও একটি মাইল ফলক। বক্তব্যে তিনি গত জুনে তার জাপান ও থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আলোচনা করেন। ২২ দিনের ওই সফরে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান জাপানের রাইকুকো বিশ্ববিদ্যালয়ে নুমাতা ফেলোশীপে অংশগ্রহণ করেন। ৯ই জুন রাইকুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া স্টাডিজ (সিএসএএস) এ রোহিঙ্গা বিষয়ে ভাষণ প্রধান করেন। ১৮ই জুন কুমমামতো বিশ্ববিদ্যালয়, ২৫শে জুন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এর সাথে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণার মত গুরুত্বপূর্ণ খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত বিগত ১০ বছরে বরাদ্দ পাওয়া যায় ১৩ লাখ টাকা।
যার আকার এ অর্থবছরে বছরে দাঁড়ায় ৭৭ লাখ টাকায়। এটিও একটি মাইল ফলক। বক্তব্যে তিনি গত জুনে তার জাপান ও থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আলোচনা করেন। ২২ দিনের ওই সফরে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান জাপানের রাইকুকো বিশ্ববিদ্যালয়ে নুমাতা ফেলোশীপে অংশগ্রহণ করেন। ৯ই জুন রাইকুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া স্টাডিজ (সিএসএএস) এ রোহিঙ্গা বিষয়ে ভাষণ প্রধান করেন। ১৮ই জুন কুমমামতো বিশ্ববিদ্যালয়, ২৫শে জুন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এর সাথে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।